পাতা:স্মৃতির রেখা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করতে। সেখানে হরিবাবুর তহশীলদারও এল। সেখান থেকে বার হ’য়ে ঘোড়া ছুটিয়ে দিলাম।--বেলা প’ড়ে গেল-পাহাড়টার দিকে চাইতে চাইতে ভাবছিলাম-গাছটায় দু’একদিন হ’ল চড়কের কঁাটা ভাঙা হ’য়েছে। আজ যদি হঠাৎ যাই "তবে সে সব দেপে মনে হবে। আবার ছোট হ’য়ে বনগায়েই পড়ি। ক্ৰমে বেশ রৌদ্র গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেল। নাড়াবইহারের দিকে সূৰ্য্যটা লাল হ’য়ে ডুবে যেতে লাগলো। ঘোড়াটা কি চমৎকার ছোটে ! কি আরাম । মুক্ত মাঠের মধ্যে হাওয়ায় ওরকম ঘোড়া ছুটিয়ে আসা কি আনন্দের । পথে গণপৎ ঝা ও সহদেব ভকতের সঙ্গে দেখা । ইসমাইলপুর জঙ্গলে একজন কে আগুন দিয়েছে-নাম বললে হংসরাজ-আসরদি। আমিন জমি মেপে দিয়েছে বললে । দ্বিারায় যাব গম সব কাটা হ’য়ে গিয়েছে—তার পর এসে সেই যে জায়গাটা আমি রোজ ঘোড়া নিয়ে পাহাড় দেখি, সেখানে এলাম। অনেকক্ষণ সেখানে দাড়িয়ে রইলাম-বড় ভাল লাগল-মুক্ত উদার মাঠ, হু হু নিৰ্ম্মল হাওয়া —দূরবিসৰ্পিত দিক্‌চক্রবাল-জঙ্গলের খানিকটা খুঁড়ে ফেলেছে। তারই পাশ দিয়ে এসে লোধাইটোলার ঐ পথটা দিয়ে ঘোড়াটা যা ছুটলো ! এসে ফিরে স্নান করলাম। দিনটা ভাল লাগল-এগার ঘণ্টা ঘোড়ার ওপর কেটেছে আজ । এত ক্লান্ত কোনো দিন হইনি । ৷৷ ১৬ই এপ্রিল, ১৯২৮ ৷৷ আজ বৈকালের দিকে ছোট ঘোড়াটা ক’রে ললিতবাবুর দ্বিারা কাছারী গেলাম। বেশ লাগল-বাইরে টেবিল পেতে ললিতবাব ও মোহিনীবাবু বসে-হু হু করে। পূবে হাওয়া আসছে। সারাদিন গরমের পরে বেশ লাগল। টেলিস্কোপে ofg6 (r so Nion nebula-Sf3 (oiso 57. Observationএর জন্যে টেলিস্কোপটা খাটিয়ে রেখে দিয়েছেন। এখন মনে পড়লো ছেলেবেলায় কলকাতা থাকতে দেখেছিলাম, চীৎপুর রেলের ধারে একটা লোক এই রকম টেলিস্কোপ দিয়ে মাপ করছেন-বাবা বললেন, দূরবীণ। না জানি সে লোকটা এখন বেঁচে আছে কি-না । তারপর গল্প-গুজব করবার পর রাত্রি সাড়েন’টার সময় সেখান থেকে বেরুলাম। লোধাইটোলা পৰ্যন্ত একজন আলো দিয়ে পৌছে দিয়ে গেল। ভগনি ভগৎ খাতির ক’রে সুপারী ও সিগারেট দিলে। তারপরই অন্ধকার-পথ দেখা যায় না-মাথার ওপর নক্ষত্ৰভরা আকাশ-নক্ষত্রের আলোয একটু একটু পথ দেখা যাচ্ছিল। ঘোড়া বেশ ছুটিল এক জায়গায়-এমন S, or é