পাতা:স্মৃতির রেখা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেউ নেই।-কেউ নেই-তাদের মুখের দিকে চাইবার কেউ নেই। কোন মুক্তপুরুষ অনন্ত অধিকারের বাৰ্ত্তা নব-আনন্দের তডিৎলেখায় তাদের উপেক্ষিত অন্ধ বৃভূক্ষণশীর্ণ প্ৰাণে পৌছে দেবে ? ॥ » २३ छिंगश्च, २० २१ ॥ হঠাৎ জানালার ধারে এসে দাড়ালাম-বাইরে শীত কমে গেছেজ্যোৎস্নাসিক্ত লঙ্গ লঙ্গা ছায়। পড়েছে--"আলো-অাঁধারে গাছগুলোর লম্বা লঙ্গা ছায়া-মনে হোল এই যে সুন্দর পৃথিবী, এই জোৎস্না ছায়া, ঐ রহস্যময। চিন্ত৷ পাঁচশো বছর পরে কোথায় থাকবে ? ঐ দূরে যে কুকুরটা ঘেউ ঘেউ করছে, এই সঁশবাড়ের বঁাশগুলো – আজি যার। সব জীবন্ত স্পষ্ট মন্তিমান--"আজ আমার জীবনের যে দুঃখ সুখ আমার কাছে স্পষ্ট জীবন্ত, তারা সব কোথায় থাকবে ? কোথায় মিশে যাবে- কোন দূর অতীতে ? আবার তাদের জায়গায় নূতন সুখ, নূতন অন্তভূতি—এতদিনের আচঞ্চল, গতিহীন জড় সংসার যেন হঠাৎ তার চোখে সচল গতির (বেগে জলস্থ হয়ে উঠল, যা এতদিন ছিল বদ্ধ, হয়ে উঠলো। রহস্যময় জীবন্তু গতিশীল -পথিক বিশ্ব এই অনন্তের মধ্য দিযেও ঠিক আছে, তার বুকে যুগে যুগে কত বিনষ্ট সুবোধ জীবের ব্যথা, কত অতীতের কত বেদনা-ভর বুক তার, যুগযুগের বিরহ জন্মমৃত্যুর মধ্যে দিযে, প্রচণ্ড বিদ্যুৎ, সৃষ্টির কত ফুল, কত রহস্য নিযে যে ঢলে আ{সছে । ইয়াত অনেক দিন পরে সৃষ্টি যখন সুন্দর হবে। আগের চেয়েও তপন দূর স্বর্গের কোন কোণে মন্ত বড় জ্যোতিবাতায়ন খুলে দেখে অতীতদিনের জীবের কাহিনী তার মনে পড়ে যায়-অনন্তের পাষাণ আনন্দ বেয়ে যারা কত কতদিন মিশিয়ে গেছে-লুক হয়ত তার অনন্থের नाथाश् अझ ७ठ । | २७;* छि,लश्रद्म, • • २१, ङ|१|क्भूव ॥ “অসীম অনন্তু রহস্য ভরা আকাশ-শুদ্ধ রাত্রি । পৃথিবী সুপ্তির অন্ধকারভর। এখানে ওখানে দুএকটা কুকুর ঘেউ ঘেউ করছে মাত্র । মাঝে মাঝে বাতাস লেগে নিমগাছের ডালপালার মধ্যে শিবু, শিবু শব্দ হচ্ছে। আকাশ অন্ধকার, পৃথিবী অন্ধকার। আকাশে বাতাসে একটা নীরবতা। অন্ধকার অকাশে R8