পাতা:স্মৃতির রেখা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধূমকেতুরাজি, ঘূর্ণ্যমান ধাতুপিণ্ড, প্রস্তরপিণ্ডের অতি অদ্ভুত, রহস্যভর। ইতিহাস-এই জন্ম-মৃত্যু, পায়ের নীচের লক্ষকোটী প্ৰাণীর মরে যাওয়ার লীলা উৎসব। মৎস্যযুগ অঙ্গার যুগ, সরীসৃপযুগের প্রাণীদের প্রস্তরীভূত কঙ্কাল কত ফুল ফল বন নদী পাহাড় ঝর্ণা কত কুলহীন, দিকহীন গৰ্জমান মহাসমুদ্র-অনাদি, অনন্ত, লীলাময়, রহস্যময, অজ্ঞেয় জীবন মৃত্যুর প্রবাহ । এর মধ্যে তুমি জন্মেছ | আত্মাকে প্রসারিত করে দাও এদের মধ্যে ! চুপ করে t,চাপ বজে বসে এই গতিশীল তাণ্ডব-নৃত্য-চঞ্চলে মহাকালের মহাপথযাত্রার উৎসবের কথা! ভাবৌ-কোথায় যাবে তোমার দুদিনের বন্ধজীবনের দৈন্য, কোথায় যাবে , তামার রুদ্ধ ঘরের অনিৰ্ম্মল দুষ্ট হওযার ভাণ্ডার- প্রাণের বেগে গতির বেগে ছুটে ধেরিয়ে পড়ে দ্যাগে জীবন কি মহিমাময়, কি বিরাট, কি ঋদ্ধিশীল ! কি অক্ষয় অনাদি অনিৰ্ব্বাণ জীবন, সঙ্গীতের কি মধুর লঘু-সঙ্গতি । ঘুঙুর বঁাধ। পায়র। হয়ে ছাদের আলসে অকড়ে পড়ে থেকে না, বাজ KDBB BD Di0DSS DDDS DKEB D DBDOD অকুল শাশ্বত নীলাকাশ তার Yuutu utBBS DDES KKS S SDBSDD JSgS DSDD KS উড়ে খাও-সুন্দর বৈকাল, ৩. মোর বউলের গন্ধ ভেসে আসছে, পাখী ডাকছে, বন ঝোপের পাতা সরু সৰু করছে।--জীবনে এ বৈকলি কতবার আসে কতবার যায়, কিন্তু প্ৰত্যেক অপরাহ-ই যেন নিত্য-নূতন মনে হয়, কারণ সামনে যে অজােন। রাত্রি আসছে । অজানার আনন্দহ মানুষের জীবনের সব চেয়ে বড় আনন্দ । অন্ধকারে সুয্যে ডুবে গেল, কিন্তু আবার সকালে উঠবে। আবার নতুন জীবন নতুন ফুল ফল ফ্ল’বি! শিশির পাপীর গানে আবার সঞ্জীবিত হয়ে উঠবে। আবার কােত হাসি, ক ৩। কুমারীর ঘাটে যাওয়া, কত জানালায় ধূপগন্ধ অশাস্ত প্ৰাণ পাখী তার মানে না।--সব দিকের বন্ধনহীন, নিঃসঙ্গ, উদাস, অনন্ত অকূল নীলব্যোমে মুক্তপক্ষে ওড়বার লোভে ছটফট করছে—জীর্ণ পিঞ্জরীদলে শুধু অধীর আকুল পক্ষাবিধূনন । উড়তে চায়-উড়তে bায় ~~পরিচিত, বহুবার দৃষ্ট, একঘেয়ে, গতানুগতিক গণ্ডীর মধ্যে আর নয়, একেধারে অপরিচয়ের অকূল জলধিতে পাড়ি দি৩ে চায়, হয়তো দূরে দূরে কত শ্যামসুন্দর অজানা দেশসীমা, তুহিন শীতল ব্যোমপথে দেবলোকের মেরুপর্বত। আলোর পক্ষে ভর দিয়ে শুধু সেখানে যাওয়া যায়, অন্যভাবে নয় - সেখানেও ক্ষুদ্র গ্ৰাম্য নদী বয়ে যায়-দেববধূগণ পীত হরিৎ তারকার আলোকে মৃদুপদবিক্ষেপে জল-খেলা করতে নামে । \