পাতা:স্মৃতির রেখা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( আবার চব্বিশ বৎসর আগের একটা এমনি দিন থেকে জীবন আরম্ভ হয় না ? আমি অমনি লুফে নেবো । ) বহুদূরের নক্ষত্রে, গ্রহে গ্রহে কেমন সব জীবনধারা ? সময়ের মাপ-কাঠিটা তাদেরও কি আমাদের মত ওই রকম ছোট, না বড় ? সেখান থেকে এসে আবার পাকড়া টোলার পথটায় আ৷ সন্ন সন্ধ্যায় আবার ঘোড়া ছুটিালাম ! কখনো মাঠ, কখনো ঝোপ-ঝাপ, কখনে। উলুবন, কখনো শুধু আকাশ, কখনো ভুট্টাখেত—এই রকম থরে থরে নূতন পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে এই উন্মুক্ত গতি বড় ভাল। সন্ধ্যার অন্ধকারে ঘোড়া ছুটলে অন্ধকারে ধূসর পাহাড়টাও যেন সঙ্গে সঙ্গে নাচতে লাগল-দূর আকাশে শুক তার উঠেছে, কি জানি কোন দূরের জগৎ, সেখানে কি ধরনের জীবনযাত্ৰা ! ৷৷ ৬ই আগষ্ট, ১ নং ২৭ সাল ৷ পূৰ্বদিকের জানালাটা দি যে আজ বেশ ঝির ঝির করে হওয। বইছে-একটু মুখ তুলে জানালার ওপর গরীদের ফাঁক দিযে চেযে দেখলেই বটেশ্বর নাথ DD DHBLSS SDS BBB SS KBBS KJK BBSS BDBB0SS SSBBBB BBBB BBDBBS LOB বসানো, একরাশ ফোটা-ফুল বিছান|ষ ! শুয়ে এমা সন পড়তে পড়তে মনে হোল ১৯১৮ সালের এমনি রাত-সেও ১৪ই ভাদ্র । অশ্বিনী বাবুর বোডিংএর একটা এদের ঘরের গুমটি গরমে প্রথম সিট নিযে এই রাত্রিটা কাটিয়েছিলাম ; কত আনন্দে, ক’ত উৎসাহে।--কি অপূর্ব (মাহ, সেদিনের রাত্রির ঘুমঘোরে আমাকে আচ্ছন্ন করেছিল--তারপর দিন সকালটিতে আমার সেই নতুন জামাটি গায়ে দিযে কত যত্নে কামিয়ে গাড়ী ধরতে ছুটেছিলাম। সে সব দিনের ইতিহাস আর কোথাও লেখা থাকবে না-নেইও। শুধু এক তরুণ মনে তা আঁকা আছে-আর পঞ্চাশ বছর পরে, কি আর পাঁচশো বছর পরে—সেসব দিনের অপূৰ্ব্ব পুলকের কাহিনী শতাব্দীর পূর্বের প্রথম বসন্তের পুষ্পস্তবকের ন্যায় লুপ্ত হযে যাবে। তবু যেন মনে থাকে একদিন সে অমৃতধারা বাস্তব জগতেবই ছিল। </তাই যখন কোন মিউজিয়মে মমি দেখি তখন সেসব চুৰ্ণাযমান সাদ। হাড়েট্রিড়ের বুকে, এই পৃথিবীর নীল আকাশ, রাগরক্ত সন্ধ্যা, বাতাস, আলো, কোনো সুশ্ৰী শিশুর মুখটি, তরুণীর চোখের দীপ্তি, কোন নিভৃত অপরাজয়ে অজানা ফুলের সুবাস---এই সব একদিন যে আনন্দের বাণ ছুটিয়েছিল—তিন হাজার বছর অতীতের যে লুপ্ত হাসিগান, মনের শান্তি,--বহুদিন লুপ্ত যেসব W8