পাতা:স্মৃতির রেখা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদিত্বাদিস্মৃত্যুপ্রেতি-ন্যান্য পন্থা বিদ্যতে অয়নায়! মৃত্যুকে জয় করে বড় হতে গেলে এই অন্ধকারের পরপারের সেই আদিত্যবৰ্ণ মহাপুরুষ র্যাকে মহর্ষি নিজে বুঝেছেন এবং বুঝে এটুকুও বুঝেছেন যে তঁকে না বুঝলে মৃত্যুকে ছাড়িয়ে ওঠবার আর পথ নাই-তাকেই জানতে হবে। যে অমৃত প্ৰভাতে আদিম ভারতের কোন তপোবনে এ মহাবাণীর জন্ম হয়েছিল, সে তপোবনের, সে প্ৰভাতের বন্দনা করি । সত্যই তো । অনন্ত বিশ্বকে মানলেই তো মানুষ দেবতা হয়ে ওঠে, তার ওপর এই বিশ্বজ্ঞানকে ছাড়িয়ে তার ওপারে তার কৰ্ত্তবাজ্ঞান যে লাভ করেছে সে অতিমানব-এ বিষয়ে ভুল নাই । অতিমানব সেই, যে চিন্তায় বড়, অনন্তের সঙ্গে যে নিজের আত্মাকে এক कङ्गाड्ठ 69gछ । মনোরাজ্য মানুষের অতি অমূল্য অধিকার । একে খুব কম লোকেই জানে, খুব কমই এর সঙ্গে পরিচিত। ভাববার সময় মানুষে পায় না। অথচ এই মনই মানুষের অন্ধকারে পরপারের জ্যোতিৰ্ম্ময় অনন্ত জীবনের বেলাভূমিতে যাবার একমাত্র অদৃশ্য পুষ্পক রথ। তোমাকে যে দেশের জঙ্গল কাটতে হবে সেটা ঠিকই, লুভূক্ষিতকে অন্ন দিতে হবে ঠিকই, কিন্তু এটা ভুলে গেলে চলবে না যে চিন্তার দ্বারা তুমি মানবজাতিকে যে আনন্দের স্তরে ওঠাতে পারো সাময়িক একমুঠা অন্নদানে সে সাহায্য হবে না । নিজে বড় হও তারপর সেই আনন্দের বাৰ্ত্তা পরকে শোনাওআশার বাণীতে তাদের জরামরণ ঘুচে যাবে। ভগবান তঁর অনন্ত জীবনের আনন্দ সকলকে বিলিয়ে দিতে চান এই জন্যই যে তার মত উচ্চ জীবের কল্পনা, ধ্যান, বুদ্ধি সকলের হয় এই তিনি চান। তার উপায়ও তিনি করেছেন, তবুও যদি ছোট হয়ে থাকা যায়। তবে কে কি করবে ? সংসারের কলকোলাহলের উৰ্দ্ধে নিত্যকালের মশালচীদের যাবার পথ, তোমার ব্যাকুলতা দেখে তোমার মশাল তারা জেলে দেবেন, নয়তো অনেকের মত তোমার মশাল এমনিই থেকে যাবে। “Let us not fag in paltry works which serve one not and lag alone. Let us not lie and steal. No God will help. We shall find all their teams going the other way-Charles's wain, Great Beer, Orion Leo, Hercules every God will leave us. Work 88