পাতা:স্মৃতির রেখা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(rather for these interests which the divinities honour and pro mote-justice, love, freedom, knowledge, utility.” ৷৷ ২২শে সেপ্টেম্বর, ১৯২৭ ৷৷ ভবঘুরের রক্ত আমাকে পেয়ে বসেছিল, তাই আজি বেরিয়ে পড়লাম আমি ও অস্বীকা । সকালে হেমন্তবাবু এসে প্রথম মাইল পোষ্ট পয্যন্ত এগিয়ে দিয়ে গেল। চারিধারে সবুজ ধানক্ষেত, জলাতে কুমুদ ফুল ফুটে আছে, দূরে তালগাছের সারি ও নীল পাহাড় শ্রেণীর সীমারেখা । বার মাইল চলে এসে রামবাবুর বাড়ী রয়ে গেলাম ! সেখানকার অভ্যর্থনা, পান, করঞ্চার সিরাপ দিয়ে চাটনি কখনো ভুলবো না। রামবাবুর বাগানটিতে ছায়াভিরা পোপে গাছ ফুলগাছ বড় ভাল লাগল। সেখান থেকে বার হয়ে বৈকালের দিকে কি সুন্দর দৃশ্য। খড়কপুর পাহাড়ের ওপর সুষ্য অন্ত গেল। পাহাড়ের কি নীল রং, ধানের রং কি সবুজ ! সন্ধ্যার সময় এসে রজোন থানান্য পৌছে মুসলমান দারোগটির আতিথ্য গ্ৰহণ করলাম। বেশ ভাল লোক-আজকাল এই হিন্দু-মুসলমানে বিবাদের দিন এরূপ আতিথ্য দেখলে বড় আনন্দ হয়-মানুষের আত্মা সব সময়ে যেন বাইরের কুয়াশাতে দি শাহারা হযে থাকে না-বরং যখন আপনা-আপনি থাকে তখনই সে মুক্ত, অনন্ত সুখী থাকে। -- এর আমি অনেক প্রমাণ আগে পেয়েছি, এখানেও {..পলাম । এই থানা, সামনের মুণাল-ফোটা বৃহৎ পুকুরটা, এই কি সুন্দর হাওয়া-- সন্ধ্যার পর এই থানার আয়না বসানো টেবিলটার ধারে বসে লিখছি—এ সব যেন কোথায় এসে পড়েছি -সেই--এই সময় পাকাটি হাতে শিবাজীর মত যুদ্ধ-যাত্রা মনে পড়ে—সেই মাির তালের বড়। ভাজা, কলকাতা থেকে এসে খাওয়া -বাবার দেশভ্রমণের বাতিক-সেই বড় দিনের সময় আমবানের কাছে বেড়ানো--"কত পুরাণে দিনের কথা মনে পড়ে। ভগবান, তুমি সামনে টেনে নিয়ে যােচ্ছ--সামনেই নিয়ে চল। সেই সোনারপুরে এমন সময়ে মা মারা যাওয়ার দিনটি থেকে খুব নিয়ে চলছে—সেই কিশোরীবাবুর বাড়ী, জ্যোৎস্নাময় পুর্ণিমার কথা মনে পড়ে। ৷৷ ২৬শে সেপ্টেম্বর, ১৯২৭, রজোন থানা ৷ কাল রজোন থানা থেকে বেরিয়ে অত্যন্ত খারাপ রাস্তায় মাঠের বঁাকা