পাতা:স্মৃতির রেখা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫১

বাঁশ, সেয়াফল, কত কি বুনো গাছপালা। কি নির্জন স্থান-এই পৰ্ব্বত-বেষ্টিত স্থানে বোধ হয় প্রাচীন রাজগৃহ ছিল। আমাদের দেশের অধিকাংশ লোকের তাব ও চিন্তাদৈন্য দেখলে মনে বড় কষ্ট হয়। এত নিকটে এমন স্থান আছেপ্রাচীন বেবিলনের মত গৌরবশালী ধ্বংসস্তৃপ যার – তার কেউ একটা ভালরকম সন্ধানও দিতে পারলে না বাক্তয়ারপুর থেকে ! অনেক কাল পরে একজন বন্ধুর সঙ্গে দেখা হোল। College days এ তার N, gifts fig7 frt's interests 45 limited & 3 (sic: , 5:1 (3. সংসারে পড়ে অর্থার্জন ও তুচ্ছ যশোকাঙ্ক্ষায় তার সব মন, বুদ্ধি, শক্তি ব্যয়িত হয়েছে পচিশ বছর পূর্বে সে দীপ্তমুখ বালককে এই অকাল-বৃদ্ধ, অপ্ৰসন্ন মুখ নিস্তেজ, প্রৌঢ় ভদ্রলোকের মধ্যে খুজে পেলাম না। মনে বড় কষ্ট হোল । এই রকম করেই জগতে অনেক লোকের জীবন ছাই চাপা পড়ে যায়। প্রথম কারণ – কল্পনার অভাব, দ্বিতীয় - তারা দিকচক্রবালের দূরসীমার প্রান্তের সবুজ বনরেখার সন্ধান পায় না, মাথার ওপরকার ছাদের কড়িবারগায় তাদের অনন্ত আকাশের ছায়াপথকে আড়াল করে রেখেছে। জীবনে বড় আনন্দকে ধ্যানে আগে পেতে হয় এবং ধ্যান ভিন্ন তার সন্ধানই মিলে না ৷ হৈ-হাই বাজারের মেছোহাটার কলরবে ধানকে কখনো আসনপিড়ি হয়ে বসতে সুযোগ দেয়নি এরা । সে বেচারী সুযোগ খুজে খুজে হয়রান হয়ে তারপর কম্বল গুটিয়ে আসাফল্যের পথ চেয়ে আন্তহিত হয়েছে। তারপরেই ' আসছে সাহেবকে প্ৰসন্ন করে মাইনে বাড়াবার চেষ্টা । কোন ফন্দিতে বেশী ব্রিফল যোগাড় করতে পারা যাবে, সেই ভাবনা । এর ওপর মেয়ের বিয়েতো অবিশ্যি আছেই। কেউ এসব নিয়ে মাথা ঘামায় না । কে খবর রাপে মগধ । আর কে খবর রাখে। এই ভূমি পবিত্র হয়েছিল সে প্রাচীনকালে ভগবান বুদ্ধদেবের পূত চরণরেণু স্পর্শে ? তারা শুধু তাড়াতাড়ি ব্ৰহ্মকুণ্ডে একটা ডুব দিয়ে বিষ্ণুমূৰ্ত্তির পায়ে একটি ফুল ফেলে দিলে আবার জোগাড় করবার জন্য ছােটে। এই বিশাল পাহাড়শ্রেণী, এই নিৰ্জন স্নিগ্ধ বনভূমি, এই ভূগর্ভস্থ প্রাচীন দিনের সব চেয়ে বড় সাম্রাজ্যের রাজধানী তাদের মনে খোরাক যোগাতে পারে - তারা তার উপযুক্ত নয়। ৷৷ ১৩ই নভেম্বর, ১৯২৭, রাজগিরি ৷ কালীর সঙ্গে ৫/৬টা দিন বেশ কাটল । সময়ে সময়ে পুরোনোদিনের 《○