পাতা:স্মৃতির রেখা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলেবেলাকার গল্প-সল্প করা যেত । রাজগৃহ বেড়াতে গেলাম, নালন্দা গেলামযেমন বাল্যকালে আমরা দুজনে কুঠির মাঠে, মরগাঙের ধারে বেড়াতে যৌতুম, তেমনি। বাবার মুখে গান পুরোনো সুরে বহুদিন পরে তার মুখে শুনতাম । আবার সেই সব শৈশবের আনন্দ ফিরে এসেছিল । কাল সকালে পাটনা গিয়েই বৈকুণ্ঠবাবর মূপে শুনলাম যে এখনই ভাগলপুর যেতে হবে। তখনই লুপ Express এ রওনা হলাম। ব্যক্তিয়ারপুর ষ্টেশনে ওদের মশারী ও গায়ের বোতাম ফিরিয়ে দিয়ে গেলাম । আজ সকালে ইন্সিওরেন্স এর এজেণ্ট ভদ্রলোক বলছিলেন কাল নাকি অমরবাবুর বাসা থেকে সকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা গিয়েছিল। অসম্ভব নয়, কালকার দিনটা ছিল খুব ভাল। আমি কাজরা ষ্টেশনের বঁাকটায় এসে ট্রেন থেকে ঠিক বেলা চারটার সময পূর্ব-উত্তর কোণে দিক্‌চক্রবালে মিছারীর পাহাড়ের মত শুভ্ৰ, ঈষৎ সোনালী র” এর একটা পৰ্বতশ্রেণীর মত লক্ষ্য করছিলাম বটে । হয়তো সেটা মেঘ, কিন্তু হতেও পারে হয়তো বৈকালের নিম্মুক্ত আকাশে দূর থেকে হিমালয়ের তুষার শিখরই চোখে পডেছিল। Hugh Walpole এর কথাটা বড় মনে লেগেছিল সেদিনকার Englishman-s) : “The establishment of a contemplative order. Anyone above so, should retire to a quite valley, free from motors and radios and spend sometime in silence and contemplation-amidst green woods and quietness of chirping of wild birds beneath a hlue sky--if possible by the side of running brook.' চমৎকার কথা ! জগতে এখানে ওখানে সত্যিকার মানুষেরা সব আছে, যাদের মুখে মাঝে মাঝে ভারী খাটা কথা সব শুনতে পাওয়া যায । ৷৷ ১৬ই নভেম্বর, ১৯২৭ ৷৷ অমরবাবুর ওখান থেকে গল্প করে ফিরে কেদারবাবুর বাড়ীতে রামায়ণ গান শুনে বাসায় ফিরছিলাম । পথে আসতে আসতে অনেক কালের একটা গল্প মনে পড়ল। আমার পলিসির অধ্যবসায়ের ঘটনাস্থল ছিল নবীন চক্কোত্তির বাডীর এদিকের এড়ো ঘরটা । এই গল্পটার ঘটনাস্থলও ছিল তাই। কোন এক ভগ্নপোতে মহাসমুদ্রের 受8