পাতা:স্মৃতির রেখা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পিছনে চেয়ে দেখলাম, বটেশ্বর নাথের পাহাড় ছাড়িয়ে অনেক ওপরে উঠেছে। কলবিলয়া পার হবার সময় পূবদিকে পাহাড়ের ধূসর ছবি, ওপরে ওঠা পূৰ্ণচন্দ্ৰেয় দিকে চেয়ে চেয়ে বাড়ীর ভিটের কথা ভাবছিলাম।--সেই ভাষা কলসী হাড়ি প’ড়ে আছে-কোনকালে এই সজিনা ফুলভরা বসন্ত দিনের বার্তা ! পিসীমার কাছে কাটান। সেই সব দূরের দিনগুলো } এছাট্ট এক নোনা গাছের ধারের ওপরের ঘরে কত পূর্ণিমার রাত চ’লে যাওয়া ! সামনে দ্বিারার মধ্যে এখান থেকে এখনও ছ’মাইল। এই রাত্রে যেতে হবে । ঘোড়া ছেডে চ'লে এসে যখন নাড়াব। ইহারে প’ড়েছি তখন খুব জ্যোৎস্না ফুটেছে-বায়ে বলিয়াডির ওপরে কাশবন একটা । আশে পাশে কাশের ছাড় । নির্জন-ধুধু করছে মাঠ আর কাশবন—কোন দিকে মানুষের সাড়াশব্দ নেই। পরে আন্দাজে ঘোড়া চালিয়ে এসে দেখি সামনে সেই পড়-দেওয়া জলাটা প’ড়েছে। ঘোড়া টপকে পার হ’ল- প্ৰতিমুহুর্তেই ভয় ਸ. বুঝি পথ হারাবো । পরে জঙ্গলটা পার হ’য়ে লো ধাইটোলার নীচের তলাটার ধারে এসে গমক্ষেতে ঘোড়া ছেড়ে দিয়ে অনেকক্ষণ জ্যোৎস্না-ভরা জলাটার দিকে চেয়ে রইলাম। চাঁপাপুকুরের পুকুর ঘাটে যাবার ইমাদি-ওয়াল জমিটুকুতে ওই রকম জ্যোৎস্না প’ড়েছ । দীর্ঘ দীর্ঘ শস্যক্ষেতের মধ্য দিয়ে ঘোড ছাডলাম-যবের শীষে পা লেগে সিবু সিন্ধু শক ठू'छिन् । লো ধাইটোলা ছেড়ে ঘোড়া খুব দৌড় করলাম--Ranchmay’s Rideএর মত খুব। গম যবের ক্ষেত দিয়ে একে বেঁকে খুব জোরে ঘোড়া ছুটিয়ে এলাম। কাছারী পৌছালাম সন্ধ্যার একঘণ্টা পরে। অপূর্ব জ্যোৎস্নার রাত্রি ; দাওয়ায় চেয়ার পেতে ব'সে আছি। সামনের কাশীবনে জ্যোৎস্না এসে প’ডে অপূৰ্ব্ব দেখাচ্ছে । কাছারীর অনেকে ধটেশ্বরনাথে গঙ্গাব্দান করতে গিয়েছে, এখনও ফেরেনি । ক’ত কি পার্থী ডাকছে । বিহারের দিক-দিশােহাৱা মাঠ, তার নিজানতা, দু’একটা সার্থীছাড়া রব, কাশবন, বালিয়াড়ী, অস্ত-সুৰ্য্যের রাঙা আলো, জ্বপূর্ব জ্যোৎস্না-এই সবের মোহ ঐক্রমে ক্ৰমে মাথায় পেয়ে ব’সেছে { বড় আনন্দে দিন আজ কাটল । যাতায়াতে চব্বিশ মাইল {घाएछा-bएgा श्*ब्ल अख्ने । আজি জয়পালটোলার নিজজন ছায়াপথটা বেয়ে আসতে কেবলই মনে হচ্ছিল —দূরে সেই হাটবার, পূবমুখে যাওয়া থেকে বহুদূর জীবনপথে চলেছি। সেই কুলক্ষেতে যাওয়ার দিন, সেই বঁাশবন পোডার দিনগুলো-কত কত পিছিষে পড়ে গিয়েছে । এই উদাস ঘুঘুর ডাক, রাঙা অস্ত-সুৰ্যোর রোদ, এই গতির ክ”ob