পাতা:স্মৃতির রেখা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই অপূর্ব শিল্প র্যার হাতের-এই পৃথিবী পারের নক্ষত্ৰজগতে হয়তো কত উন্নত বিবৰ্ত্তনের জীবজগৎ আছে। তিনি তার অপূৰ্ব্ব শিল্পপ্রতিভা সে সব উন্নততর জগতে না জানি কত অপূর্বভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন! অনন্ত সৌন্দৰ্যভূমি, এই নক্ষত্র-জগৎ-কত এ ধরণের উন্নত বসন্ত, আরও কত অজানা ঋতু বিলাস তার ধূলায় ধূলায। যুগে যুগে যে সব শিল্পী, কবি এই সৌন্দৰ্য্যসৃষ্টির গান ক’রে গিয়েছেন—গ্রীকযুগ, রোমকযুগ, রামায়ণ, কালিদাস, শেলি, সেক্সপিয়র, কীটুস রবীন্দ্রনাথ-এইসব দ্রষ্টাব্দের কথা ভাবি । ভগবানের সৃষ্টিকে এরা আরও কত মধুময় করেছে। ঐসব জগতে কত উন্নত ধরণের কবি, দ্রষ্টা, ভাবুক আছেন -কে জানে ? আমি বেশ কল্পনা করতে পারি, নির্জন জ্যোৎস্নাময়ী, অজানা গ্ৰহ-জগতে তাদের কল্পনাব সে অপূৰ্ব্ব বিলাস। ৷৷ ২১শে ফেব্রুয়ারী, ১৯২৮ ৷৷ এখানকার এক একটা দিন এক একটা সম্পদ হ’য়ে উঠছে-কলকাতায় এরকম দিন কটা আসে ? আমােবই বা এর আগে কটা এসেছিল ? স্কুল কলেজের রুটিনবাধা কাজ বা স্কুল মাষ্টারীর রুটিনবাধা কাজের সময় এসেছিল বটে। দিনকতক League-এর কাজের সময় । কিন্তু সে ও বড় ভ্রমণশীল, বেদুইনের মত জীবন ছিল বলে সেও ততটা ভাল লাগেনি । আজিকালিকার প্রত্যেক দিনটি এক একটা উৎসব দিনের মত সুন্দর । এত সুপ্রচুর অবসর, এত বৈচিত্ৰ্য আর কখনো কি জীবনে পাব ? আজ তিনটার সময় চণ্ডীবাবু এল, তার সঙ্গে বার হ’য়ে গেলাম-প্ৰস্ফুট আম্র মুকুলের গন্ধ-ভরা বৈকালের বাতাসের মধ্য দিযে বেড়াতে বেডাতে রোমান ক্যাথোলিক গির্জাটাতে ঢুকলাম । দুধারে বৈকালের ছাযায় কি সুন্দর গাছগুলো । আমরুল, কামিনী ফুল, আমগাছ, দু’চারটি বিলাতী ফুলের গাছ, চিনি না । গঙ্গার ধারে কেমন সুন্দর বঁাশঝাড, গোলাপের বাগান ; Priest-এর সঙ্গে ব’সে অনেকক্ষণ ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে আলোচনা হ’ল। রোমান ক্যাথলিক পবিত্র Beautitude সম্বন্ধে আমাকে যা বোঝালেন তা অন্যভাবে আমি নিজের চিন্তার মধ্যে পেয়েছি। মানুষের মধ্যে এমন একটা শক্তি বেড়ে যাবে, যাতে ক’রে সে ভগবানের বিরাট সত্ত্বা সম্পূর্ণভাবে হৃদয়ঙ্গম ক’রে বিরাটের আনন্দ পাবে। বললেন, Inquisition সম্বন্ধে বিশ্বাস কোরো না-ওটা আমাদের শক্ৰদের লেখা, অনেক সত্য আছে বটে। কিন্তু অতিরঞ্জনও খুব। বললেন, আমরা Truth. সম্বন্ধে Controversi yQ