পাতা:স্মৃতির রেখা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মা ছিলেন গৃহলক্ষ্মী, ঐ দরিদ্র ঘরে বিবাহ হওয়া পৰ্যন্ত এসে অল্প সাজিয়ে গুজিয়ে চালিয়ে গিয়েছেন। সেই চাল ভাজা-সেই সব। ঘরকন্ন সাজাবার বুদ্ধি যেমন মেয়েদের থাকে, তার বেশী তারা কিছু জানে না, বোঝেও না । মাও ছিলেন তেমনি। মা চিরদিন ঐ বাশবনের ঘাটে, তেঁতুলতলায় শাস্ত জীবন যাত্রা সঙ্কীর্ণ ছোট গণ্ডীর মধ্যেই কাটিয়ে গিয়েছেন—সে জীবনের বাইরে তিনি অন্য কোনো জীবনের সন্ধানও জানতেন না । তাই তার সজনে গাছ পোতা হরি রায়ের জমি নেবার পরামর্শ, বিয়ে না করতে চাওয়ায় সংসার উল্টে গোল এই ভাবে কান্না-যেন সত্যই তার সংসার উন্টেই গেল-ৰ্তার সংসার-আমার Sजद्र नश् । মাথার উপরের নক্ষত্ৰজগতের দিকে চেয়ে দেখলাম, এই জীবন ঐ পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত। কত এরকম জ্যোৎস্না রাত্রি, কত এরকম যাওয়া আসা, কত জীবনানন্দ । যে যাই ভাবুক আমি দৃঢ় বিশ্বাস করি।-শুধু বিশ্বাস বলে নয়-যেন দেখতেও পাই, হাজার হাজার বছর পরে ঐ আমার শৈশব আনন্দভরা ভিটার মত আর কোন দেশে জন্মে অপূৰ্ব আনন্দভরা শৈশব যাপন করবো-পৃথিবী মায়ের বুকে নতুন হ’য়ে ফিরে আসবো । সে যাক, দুর্বল-দৃষ্টি লোকে ভাবে আমি হ’য়েছি। Theosophist. জীবন ভোগ করতে হ’লে হৈ হৈ ক’রে কাটিয়ে দিলে ভোগ হয়না-চাই চিন্তা, ধীর চিন্তা । গভীর চিন্তাতে জীবনরহস্যের গভীর অনুভূতি হয়। সেই ছেলেবেলায় এই ফাস্থনে বেল কুড়ানো, চড়কগাছ খেলা, সেই মা-জেঠীমা, নেড়া ভরত-সে জীবন শেষ হ’য়ে গিয়েছে। সেই চাপাপুকুরের ধার, সেই যে কাদের বাড়ী বেড়াতে গেলাম, সেখানেও আজকার মত জ্যোৎসা উঠেছে-সে জীবনও শেষ হ’য়ে গিয়েছে। আমায় দূরে যেতে হবে-বহুদূর। তা’হলে ভারী চমৎকার জীবনের উপভোগ হবে। জ্যোৎস্না রাত্ৰি ফুজিসান পৰ্ব্বতে, কি প্যারিসের কোনো বুলভারএর ধারে, কি সমুদ্রের উপর জাহাজে, কি ইজিপ্টের লুক্সার, কি কোণারকের মন্দিরের মধ্যে, মিউরিয়া মরুভূমির উপরে—এইসব ভাবি । ॥ »व्ल भ6, >२२न्) ॥ কাল সন্ধ্যার পর ভাবলাম, দোলপূর্ণিমা রাত্রে ঘোড়ায় বেড়াতে হবে। খুব P R