পাতা:স্মৃতির রেখা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রহস্য-ঘেরা মনে হয় । কাল গেল “১ লা এপ্ৰিল’ । সেই “১লা এপ্রিলের শান্তোজ্জল উষালোকে” ছেলেবেলাকার কথা । কাল সুন্টু চ’লে গেল এপান থেকে । বড় পশ্চিমে বাতাসটা দিয়েছে কাল । ॥ २३ @र्थिव्ग, • • २b’ ॥ আজি গুড ফ্রাইডে । অনেককাল অ্যাগে মনে পড়ে এইদিন বনগা স্কুল থেকে সন্ধ্যেবেলা আমি আর ভরত বাড়ী ৮’লে এসেছিলাম । সেইটাতেই যেন ভারত মারা গেল। কতকালের কথা সে সব, তবু মনে হয়। .সদিন । তারপব কর্ণাঙ গুড ফ্রাইডে কেটে গেল। কালের চক্ৰটা ভযানক বেগে ঘুরে চলছে। এইমাত্ৰ হঠাৎ বড় ঝড় এল। আমি আর গোষ্ঠ বাৰু আমার ঘরের সামনে বসে আছি-এমন সময় দেখা গ'ল উত্তর-পশ্চিম কোণে ঘন কালে মেঘের পাড় । হাওয়াটা যেন একটু (, জার-এমন কি আমরা বলছিলাম বেশ হাওয়া ৫. তা ? দেখতে দেখতে মেঘের পাড়িটা গুমরে উঠলো।--তার পরই হু হু ক’রে ঝড়টা এল-সঙ্গে সঙ্গে ধুলো ও দ্বিারার বালির চরের সমস্ত বালি উড়ে আস৩ে লাগিল-কমে না-এক এক দমকায় আমার ঘরখানাতে কঁাপিতে লাগিল । છફે હથ્રિન, ૨૨ રોઝ , আজি খুব বর্ষা ঘনিয়ে এল ভাগলপুরের দিক থেকে বিকেলটাতে। ছেলেবেলাকার মত কালবৈশাখী যেন। ঘন-কালো মেঘটা ঘুরে গঙ্গার দিক থেকে পৈতির পাহাড়ের দিকে ছড়িয়ে প’ড়তে লাগল। কালকের সকালে যে চারধারে পরিখায় বাদামে পাহাড় দেখা যাচ্ছিল-বংশী, জামালপুর-সব ঢেকে দিলে। ঘনান্ধকার আকাশের দিকে চেয়ে মনে হ’ল এই তো জীবনের সম্পদ-হয়তো তিন হাজার বছর পরে আবার পৃথিবীর বুকে আসবে।-তিন হাজার বছর আগের ষাট বৎসরের প্রতিদিন কি অবদানে, সুষমায়, স্মৃতিতে মণ্ডিত হ’য়ে গিয়েছিল—ক’ত কালবৈশাখীর মেযে, কত চোখের হাসিতে, চাপাফলের গন্ধে, কত দুঃখে, কত গানে—সে সব তপন কি মনে থাকবে ? এই একটা একটা দিন জীবনের মণিহারে গাথা অপূৰ্ব্ব সম্পদ—প্রতিদিনের হাসিকান্না, সুখ-দুঃখ, বদ্ধতা—সব। দূরে হয়তে। মায়ের হাতে পোতা সঞ্জনেগাছে এতদিনে বনের মধ্যে ডাটা ধরে আছে-কে জানে ? হয়তো কেউ তুলে নিয়ে গিয়েছে-নয়তো নয়। গতির অপূর্ব বিচিত্ৰতা আমি লক্ষ্য করছি--সে। আমার চোখে পড়েছে।