পাতা:স্রোতের গতি - ইন্দিরা দেবী (১৯২১).pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৮
স্রোতের গতি

তারেই বলে মুড়ি’—কি বল ভাই অমিয়া?” বলিয়া সে অমিয়ার পানে হাসিয়া চাহিল।

 “খোকার দুধ খাবার সময় যে পেরিয়ে গেল, ওর কি ক্ষিধেও নেই আজ?” বলিয়া অমিয়া খোকাকে কোলে তুলিয়া লইয়া ঘরের বাহির হইয়া গেল।

 রণেন্দ্রেরে নিষ্ঠুরতার আঘাতে সে যে কতখানি বেদনা পাইয়া গেল অথবা পাইল কি না, তাহা বোঝা গেল না। কিন্তু রণেন্দ্রেরে অনুতপ্ত মনের ব্যথা আত্ম-হৃদয়ে অনুভব করিয়া, তাহার বিষন্ন মুখের পানে চাহিয়া মীনার নিজের উপর রাগ ধরিতেছিল। এ সময় এ কথা না তুলিলেই ভাল ছিল। কিন্তু হাতের ঢিল একবার ছুঁড়িয়া মারিলে আর ত তাহাকে ফিরাইয়া লওয়া যায় না? প্রায় সমবয়সী এই দেবরটিকে সে যথার্থ ভালবাসিত। তাহার নারী-বিদ্বেষে তাই রাগ না করিয়া কৌতুকই অনুভব করিত। প্রাণতোষ বাবু ভাইয়ের বিবাহের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করিলে সে নিরুদ্বিগ্নভাবে কহিত—“দরকার পড়্‌লেই মত বদ্‌লে যাবে—ভাইটি তোমার ভীষ্মদেব নন্ গো, সে ভয় নেই।” তাহার বিশ্বাস—মানুষ চিরদিন অবস্থার সহিত সন্ধি করিয়া চলিতে বাধ্য। প্রকৃতির নিকট পরাজয় স্বীকার করান’ কেবল পাত্র নহে—স্থান ও কালের সাপেক্ষ। ইক্ষুদণ্ডকে পিষ্ট