থাকে—দুই একখানা দেখিয়া শুনিয়া নির্ব্বাচন করিয়া রাখিয়া আসাও ত চলিতে পারে?”
সুমতি কহিল—“বেশ ত! তাহা সাম্না-সাম্নি চাহিয়া লইলেও ত পার—এজন্য অপরাধীর মত এত গোপনতার আশ্রয় গ্রহণ করা কেন?”
কুমতি রাগ করিয়া কহিল—“সে আমার খুসী! এত শত কথার জবাব দিতে আমি কাহারও বাধ্য নহি।”
সুমতি তাহার পথানুসরণে কহিল—“তবে মর!”
যতক্ষণ মনের মধ্যে সুমতি ও কুমতির দ্বন্দ্ব চলিতেছিল, সে সময় অমিয়া বাগানে ঘুরিয়া বাছা বাছা—ফুল দিয়া একটি সুন্দর তোড়া তৈয়ারি করিতে নিযুক্ত ছিল। সাদা ও হলুদ রঙের চন্দ্রমল্লিকার মাঝখানে একটি সবুজ পাতার বেষ্টনীয় মাঝে বৃহৎ মণ্টিকৃষ্টো গোলাপ দিয়া সে তোড়াটিকে সাজাইয়াছিল। গোলাপটি উজ্জ্বল ও মসৃণ। উহার রক্তবর্ণ তাহার দৃষ্টিকে শুধু আকৃষ্ট নহে, মুগ্ধও করিতে ছিল। পুষ্পগুচ্ছটি হাতে করিয়া অমিয়া নিজে তৃপ্ত হইতেছিল না। ভাল জিনিষটি নিজে ভোগ করিয়া তৃপ্ত হয় না—তাহা ভালবাসার পাত্রকে দিতেই সাধ যায়। অমিয়া স্থির করিল, বাড়ী ফিরিয়া এটি সে মীনাকেই উপহার দিবে। মীনা আজকাল যেন কেমন হেঁয়ালীয় ভাসায় কথা কহিতে শুরু