পাতা:স্রোতের গতি - ইন্দিরা দেবী (১৯২১).pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্রোতের গতি
১১৩

বিষয় নহে! স্বাস্থ্যের উন্নতি-কামনায় আসিয়া সে কি তবে আত্মার অবনতি করিয়া বসিল না কি? এ ত তাহার গন্তব্য-পথ নহে? দিগ্‌ভ্রান্তের ন্যায় সে এ কি অজান রহস্যময় অপরিচিত অনভিপ্রেত পথে যাত্রা শুরু করিয়া দিল?

 অমিয়া ভাবিয়া দেখিল, মানুষের এই যে দুর্ব্বলতা, লোকে যাহাকে বলে প্রেম, ইহাকে সে চিরদিন ঘৃণা করিয়া আসিয়াছে। সৃষ্টির আদিকাল হইতে নর এবং নারীর এই যে আকর্ষণ বিপ্রকর্ষণ বিরহ ও মিলন—ইহার বিবরণ সে কাব্যে উপন্যাসে যথেষ্টই পাঠ করিয়াছে। সংসারীজীবনে ইহার গতি লক্ষ্য করিয়াছে। এ বিষয়ে চিন্তা করিয়া, বিচার করিয়া, বহু গবেষণার ফলে একটা সিদ্ধান্তও সে করিয়া রাখিয়াছে—কেবল ইহার প্রয়োজনীয়তা বা সার্থকতাই স্বীকার করে নাই। সে জানিত, এগুলি কাব্য উপন্যাসের রমণীয় উপাদান হইলেও, বাস্তবজীবনে অপ্রয়োজনীয়। শুধু অপ্রয়োজনীয় নহে—ত্যজ্য। অত্যন্ত দুর্ব্বলচিত্ত সাধারণ নর-নারীদেরই ইহা নিজস্ব। সে কি আজ জানিয়া শুনিয়া অন্ধের মত, অজ্ঞের মত তাহার জীবন-নদীর গতি সেই ফেনিল ঘূর্ণ্যাবর্ত্তের মধ্যেই তবে মিশাইতে চলিয়াছে না কি? সে ত ইহা কোনও দিন