পাতা:স্রোতের গতি - ইন্দিরা দেবী (১৯২১).pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২৬
স্রোতের গতি

জানিয়াছিলেন। এই ছেলেটির কথা অমিয়া তাঁহাকে প্রথম প্রথম চিঠিতে লিখিত। বেশ চাঁচাছোলা তীক্ষ্ণ তীক্ষ্ণ মন্তব্য সকলও ইহার বিরুদ্ধে প্রয়োগ করিত। ক্রমশঃ কিন্তু তাহা সংক্ষিপ্ত হইয়া, কোন্ সময় হইতে একেবারে লুপ্ত হইয়া গিয়াছিল। সে সময় নিজের মানসিক বিপ্লবে উদ্‌ভ্রান্তচিত্তা সত্যবতী তাহার খবর লইতেও পারেন নাই। মীনার লেখা চিঠিখানি মিস্ চৌধুরী সত্যবতীকে দেখিতে দিলে, তিনি বুঝিয়াছিলেন শুধু রণেন্দ্র নয়, মতের বদল অমিয়ারও ঘটিয়া গিয়াছে। অমিয়ার সলজ্জ ভাব ও কথাবার্ত্তায় এ সন্দেহ তাঁহার মনেও জাগিয়াছিল; পরিবর্ত্তিত চিঠিতে কেবল স্থির নিশ্চয় হইয়া গেল। এ ‘বদ্‌লা’ মতের সংবাদে তিনি সুখীই হইয়াছিলেন। তিনি ত এখন খেয়াতরীর পথ চাহিয়া পরপারের যাত্রী হইয়া বসিয়া আছেন; এই পায়ের বেড়ী সংসারানভিজ্ঞা মেয়েটিকে সঙ্গে লইয়া কোথায় পাথেয় সঞ্চয়ে ঘুরিতে যাইবেন? কর্ম্মফল নিজ হইতে যে মুক্তি দিতে চাহিতেছে, এ ত ভালই হইল। মিস্ চৌধুরী বলিয়াছেন—“এ মিলনে দম্পতীকে কখন অনুতপ্ত হইতে হইবে না। এই যে দুইটি সম্পূর্ণ বিরুদ্ধ মতের নরনারী, ঠিক একই স্থলে গিয়া চিরদিনের বিদ্বেষবুদ্ধি ভুলিয়া পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট হইল, ইহাতে