সে ক্রোধবিষ তিনি নিজেই পান করিয়া লইলেন। বলিলেন না যে, মাসী তাহাকে যত কুশিক্ষাই দিক্, পিতাও ত তাঁহার কর্ত্তব্য পালন করেন নাই। অনাথা বিধবার হাতে মেয়ে ফেলিয়া রাখিয়া কখন উদ্দেশও ত লন নাই যে, মেয়ের কি গতি হইয়াছে বা হইতেছে? পয়সা খরচের ভয়ে বিবাহের নামও ত কখন করেন নাই।” এ সব কলহের কথা সত্যবতী একটিও উচ্চারণ করিলেন না। শুধু বলিলেন—“সে জন্যে আপনার কোন ভাবনা নেই। পাত্র আমি স্থির করেই রেখেচি। আপনি কেবল অনুগ্রহ করে দু’হাত এক কর্বার অনুমতিটি দিন্। আর কোন ভারই আমি আপনাকে দেব না।”
কন্যাদায় হইতে এত সহজে মুক্তি পাইয়া পিতা এবার আন্তরিক আনন্দ প্রকাশ করিয়াই কহিলেন—“বেশ ত তা’হলে আর বিলম্বের আবশ্যক কি? তুমি যখন পছন্দ করেচ, তখন ত আর কথাই নেই। ছেলেটি অবশ্য ভালই হবে। তোমার পছন্দ ত আর যেমন তেমন হ’তে পারে —সে আমি বিলক্ষণই জানি। তোমার কাছে মেয়ে রেখে যে আমি কত নিশ্চিন্ত ছিলাম, তা ত দেখ্তেই পাচ্চ। নৈলে কি আর নিয়ে যেতেম না, না—বিয়েই দিতেম না? ওর মা যে ওকে তোমাকেই দিয়ে গেছে, তোমায় একা