পাতা:স্রোতের গতি - ইন্দিরা দেবী (১৯২১).pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪
স্রোতের গতি

ঘাড়ে ক’রে যাওয়া ত? তা হ’লে বিশ্রাম পাচ্চ কোথায়? তিনি না হয় নির্ব্বাণ-চিন্তায় ব্যাকুল হ’য়ে শরীরের উপর জুলুম চালাচ্চেন। সকলের ত তা ক’ল্লে চল্‌বে না। তোমরা ছেলেমানুষ, তোমাদের শরীর মন তাজা রাখা চাই, তবে না—ঘরে বাইরে কাজে লাগ্‌বে।”

 সত্যবতী এতক্ষণ চুপ করিয়া শুনিতেছিলেন, এইবার অবকাশ বুঝিয়া কহিলেন—“যা বলেচ ভাই। ওঁর ধরণধারণ পোষাক আসাক দেখলে আমাদেরও অস্বস্তি লাগে। যেন পৃথিবীর সঙ্গে কোন খোঁজখবর নেই, পৃথিবীর মানুষই নন্। মাথার চুলগুলি ত বাবুইয়ের বাসা হয়ে উড়্‌চে। চিরুণী ছোঁয়ানও বোধ হয় নির্ব্বাণ-পথের বাধা! কিন্তু মানুষটা লেখে বড় সুন্দর। ঐ যে বৌদ্ধধর্মের কথাটথা গেল-মাসে ওঁদের কাগজে বেরিয়েছিল না, চমৎকার লিখেছিল, কি নামটা রে অমি?” বলিয়া অমিয়ার পানে কটাক্ষে চাহিয়া লইয়া পুনরায় মিস্ চৌধুরীর দিকে ফিরিয়া কহিলেন—“তা, তুমি ওকে বুঝিয়ে সুজিয়ে যা হয় ক’রে দাও ভাই। ওর চেহারা দেখে ভয়ে ত আমার মুখে অন্নজল যেতে চাইচে না। খেতে পারে না কিছু মাথার যন্ত্রণা ত চব্বিশ ঘণ্টা। এত বলি যে লেখাপড়ার কাজ দিন কতকের জন্যেও না হয় বন্ধ রাখ্—তা কথা কি শোনে, না গ্রাহ্য