পাতা:স্রোতের গতি - ইন্দিরা দেবী (১৯২১).pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্রোতের গতি
২৭

চৌধুরী প্রতিশ্রুতি অনুসারে তাহাকে ট্রেণে তুলিয়া দিতে আসিয়াছিলেন। অমিয়াকে কহিলেন—“মিনাকে আমি চিঠি দিয়েছি, তার বাড়ীর গাইয়ের খাঁটী দুধে, আর যত্নে সে যেন তোমাকে মোটাসোটা ক’রে ফেরৎ পাঠাতে পারে।”

 অমিয়া হাসিয়া আপত্তির সুরে কহিল—“দুধ—বাঃ, দুধ কি আমি কক্ষণো খাই নাকি? জিজ্ঞেস্ কর্‌বেন মাসীমাকে, ওটা আমি কত পছন্দ করি।”

 মিস্ চৌধুরী হাসিমুখে উত্তরে কহিলেন— “দুধ কখনও খেয়েচ কি যে পছন্দ কর্‌বে? স্বোয়াদ্ জান্‌বে কোত্থেকে?” কলিকাতার বাজারে ও গোয়ালারা যে দুগ্ধ বা নানাদ্রব্য মিশ্রিত শ্বেতবর্ণের জলীয় পদার্থ বিক্রয় করিয়া থাকে, তাহার প্রতি কটাক্ষ করিয়াই ডাক্তার এই মন্তব্যটি প্রকাশ করিলেন। কহিলেন—“দু’মাস সেখানে থেকে ত এসো, দেখ্‌বে—সব কাজের জন্যেই উপযুক্ত হ’তে পার্‌বে। কিন্তু মনে থাকে যেন, সুধু বিশ্রাম, আর কিছু না—বেশ ক’রে গরম কাপড় টাপড় ঢাকা দিয়ে ঘরের বাইরে বাগানে, মাঠে যেখানে খুসী কেবল বেড়িয়ে বেড়াবে, বসে থাক্‌বে, শুয়ে থাক্‌বে। তার পর ফিরে এসে যে বইখানি বার কর্‌বে, তাতে স্ত্রীর বিদ্রোহঘোষণার সঙ্গে এমন চমৎকার