এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্রোতের গতি
২৯
গেল। অমিয়া কথার উপর জোর দিয়া কহিল—“নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই তা আমি বোঝাব! নমস্কার!”
মিস্ চৌধুরীর তোব্ড়া গাল দুটি বিদ্রূপের হাসিতে আরও যেন তুবড়িয়া গেল। “পৌঁছেই একটা চিঠি দিও, বুঝ্লে?”
“নিশ্চয়ই—মাসীমার খবর নেবেন, ভারী একা হয়ে গেলেন তিনি। আবার বল্চি, নিশ্চয়ই তা আমি বোঝাব। সেখানেও আমি নিশ্চেষ্ট থাক্ব না।”
অমিয়ার কথার সঙ্গে সঙ্গেই, মিস্ চৌধুরীর মুখের হাসি মিলাইতেই, ট্রেণখানি ভস্ ভস্ শব্দ করিয়া প্লাট্ফরম ছাড়াইয়া ক্রমে দৃষ্টির বহির্ভূত হইয়া গেল।