পাতা:স্রোতের গতি - ইন্দিরা দেবী (১৯২১).pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
স্রোতের গতি

দু’ধারে দুটি মোটাসোটা ধব্‌ধবে সাদা “পাহাড়ী গাই” যেন শত্রুকে দুর্গ-প্রবেশে বাধা দিবার জন্যই তাদের লম্বা বাঁকা শিং লইয়া দাঁড়াইয়া আছে। তাদের বড় বড় চোখেও যেন বিস্ময়চিহ্ন ফুটিয়া রহিয়াছে। অমিয়া সভয়ে পিছু হটিয়া বলিয়া উঠিল—“ওমা, দেশের যে সবই চমৎকার, এ গরু দুটোকে আবার তাড়াবে কে?”

 গেটের ভিতরে সুস্থদেহা একজন স্ত্রীলোক, ছোট একটি মোটাসোটা সুশ্রী ছেলেকে কোলে করিয়া বেড়াইতে ছিলেন। অমিয়ার সভয় মন্তব্য কাণে যাওয়ায় অথবা তাহাকে দেখিতে পাইয়া, তাড়াতাড়ি কাছে আসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন—“চিন্‌তে ত পাচ্চিনে আপনি কে? কোথা থেকে আস্‌ছেন বলুন দেখি?” রমণীর চোখে কৌতূহলের সহিত একটুখানি সম্ভ্রমও ফুটিয়াছিল। এমন দর্শনীয় মূর্ত্তি এখানে ত বড় বেশী চোখে পড়ে না! তা ছাড়া এখানকার অল্পস্বল্প নরনারী সকলেই প্রায় তাঁহার পরিচিত। অমিয়া নিরুৎসাহভাবে কহিল—“এখানেও তাহলে গলদ্ দেখ্‌চি! লেডি-ডাক্তার মিস্ চৌধুরী আপনাকে চিঠি লিখে আমার আস্‌বার খবর দিয়েছেন বলেই ত আমি জান্‌তাম্। এখন দেখছি তা দেন্‌ নি তিনি।”