পাতা:স্রোতের গতি - ইন্দিরা দেবী (১৯২১).pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৬
স্রোতের গতি

কথার মাঝে বরং লিখিতে দেখা গেল—“রাজা হেরডকে তাঁর চিকিৎসক যে শুধু পাতা আর ঝর্‌ণার মধ্যে বিশ্রাম লইতে বলিয়াছিলেন, বাস্তবিক এও ঠিক সেই জায়গা। এখানে শ্যামলবক্ষ বসুমতী সুজলা সুফলা। পর্ব্বতের অনাবৃত উদার উন্নত মহামহিম ভাব-সৌন্দর্য্য মানবের ভাষাতীত। নদীর চঞ্চল ধ্বনি গীতি-মুখর। এখানে আমার সঙ্গী খরগোস্, হাঁস, ময়ূর, পাখী, হরিণ-শিশু আর এগারো মসের নাদুস নুদুস্ হাসিমুখো একটি খোকা! সারাদিন আমার কোন কাজ নেই, কোন দায়িত্ব নেই, অর্থাৎ আমি কিছুই করি না, কেবল খাই আর ঘুমুই, আর মনে মনে বলি—“কাল হইতে আমি একজন কাজের লোক হইব।”

 ইহার উত্তরে মিস্ চৌধুরী তাহাকে চাঁচাছোলা ডাক্তারী ভাষায় একখানি পোষ্টকার্ড লিখিয়াছিলেন—“তোমায় আরো দু’মাস ওখানে থাকিতে হইবে। ওখানে ক’জনকে স্ত্রীস্বাধীনতা বা বিবাহ-বিরোধী মন্ত্রে দীক্ষিত করিলে?” চিঠি পড়িলে রাগ ধরে না? অমিয়া তাহার কার্য্যের শিথিলতা বেশ ভালই বুঝিতেছিল। নিশ্চয়ই সে কর্ত্তব্য পালন করিতে পারে নাই, কিন্তু বুঝিয়াই বা সে করিবে কি? এখানে আছে কে, যাহাকে সে তাহার ন্যায্য অধিকার লাভের পন্থা দেখাইয়া দিবে? মানুষের মধ্যে ত