পাতা:স্রোতের গতি - ইন্দিরা দেবী (১৯২১).pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৬
স্রোতের গতি

বিরাট্‌ বাধা। ভাগ্যে তাঁদের ইঞ্জিনের জোর বেশী, তাই এই গাধাবোটগুলোকে কোন মতে ওঁরা টেনে নিয়ে যেতে পারেন। নইলে নিজেদের জোরে চলাফেরা করারও নাকি আমাদের শক্তি নেই। তিনি ত বিয়ে করবেন না বলেই প্রতিজ্ঞা করে বসে আছেন। এতেই বোঝ না, মেয়েদের উপর তাঁর কেমন ভক্তি।”

 এই নূতন লোকটির আগমন-সম্ভাবনা অমিয়ার মনে এতক্ষণ যে অস্বস্তির ছায়া ফেলিয়াছিল, তাহার মতের পরিচয় লাভে সে বিরক্তির ভাবটুকু যেন সরিয়া গিয়া বেশ একটু কৌতুকপূর্ণ আগ্রহের ভাব জাগিয়া উঠিল। এই নারীদ্বেষী লোকটিকে তবে ত ভাল করিয়া একবার দেখা উচিত!

 চিন্তাপূর্ণ-চিত্তে অমিয়া মাঠে বেড়াইতে বাহির হইয়া গেল। আজ আর হব্‌সেন বা খোকা কাহারও তত্ত্ব লইতে তাহার মনে পড়িল না। মনের সবখানটাই তখন সেই অদৃষ্ট অভ্যাগতের চিন্তায় পূর্ণ হইয়া উঠিয়াছিল। এই নূতন লোকটিকে সে কি ভাবে গ্রহণ করিতে পারিবে, ইহাই যেন তাহার মনের এক মাত্র সমস্যা হইয়া উঠিয়াছিল।

 লোকটার চিন্তা মনে উঠিতে প্রথমেই তাহার মনে হইল—তাঁহার চেহারা কেমন? মনে হইল―মোটাসোটা, শ্যামবর্ণ, দাড়ীগোঁফ-কামান, মাথার চুল খুব ছোট করিয়া