পাতা:স্রোতের গতি - ইন্দিরা দেবী (১৯২১).pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্রোতের গতি
৫৭

ছাঁটা, চোখের দৃষ্টি তীক্ষ্ণ, চুলের সঙ্গে চিরুণীর সম্পর্ক রাখার প্রয়োজন হয় না। পরণে সাদা ধুতি, গরদের কোট, বেশ একটুখানি মুরুব্বি-আনাভাবের কথাবার্ত্তা, একটু দাম্ভিক ভাব!

 অমিয়া স্থির করিল, এই অপ্রিয় লোকটিকে সে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করিয়া এড়াইয়াই চলিবে। নারীকে যে ঘৃণা করে, নারীও তাহাকে ঘৃণা করিতে জানে। কিন্তু সব সমস্যার সমাধান করিয়া এইবার বোধ হয় তাহার বাড়ী ফেরাই উচিত হইতেছে। নিজের পরিপুষ্ট বাহুখানির পানে চাহিয়া একটুখানি সলজ্জ হাসির রেখা তাহার আরক্ত অধরপুটে ফুটিয়া উঠিল। মনে হইল ইহার পর শরীর সারান কোন শিক্ষিতা মহিলার পক্ষেই সঙ্গত হইবে না। এখানের জলবাতাসের গুণে সে যেমন সারিয়াছে তেমনি ময়লাও হইয়াছে, কাপড়-চোপড়ের অবস্থাও তাই। এখন তাহার পরিচিত বন্ধু-বান্ধবেরা তাহাকে দেখিলে, সেই তন্বী গৌরী শোভনা সুন্দরীর এই আশ্চর্য্য পরিবর্ত্তনে একেবারে অবাক্ হইয়া যাইতেন―মনে করিতে মনে মনে সে খুসী হইয়া লজ্জানুভব করিতেছিল।

 রোদের তাপ মাথা ও মুখে কষ্টকর হইয়া বুঝাইয়া দিল, এইবার গৃহে ফেরা একান্তই আবশ্যক। সেই সঙ্গে