পাতা:স্রোতের গতি - ইন্দিরা দেবী (১৯২১).pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৮
স্রোতের গতি

চিন্তার ধারা পরিবর্ত্তিত হওয়ায় প্রথমেই মনে হইল, মীনা এতক্ষণ তাহার চায়ের বাটী হাতে তাহারই প্রতীক্ষায় ব্যস্ত হইয়া উঠিয়াছে। আজ কোথায় মীনার একটুখানি সাহায্য করিয়া তাহার কোন কাজে লাগিবে, তা না হইয়া নিজের কাজেই তাহাকে জোড়া করিয়া রাখিয়াছে। মাসীমা তাহাকে সংসারে কোন কাজে না লাগাইয়া এমনি অকর্ম্মণ্য করিয়া তুলিয়াছেন যে, কাজের প্রয়োজন কখন ও কোথায় তাহা সে অনুভব করিতেও পারে না।

 ফিরিবার সময় নবাগতের দৃষ্টি এড়াইবার ইচ্ছায় ঘুরিয়া সে পিছনের দরজা দিয়া বাড়ী ঢুকিল। যেদিন প্রথম সে এখানে আসে, এই পথ দিয়াই বাড়ী ঢুকিয়াছিল! আজও গেটের দুই পাশে দুইটা প্রকাণ্ড গাই তাহাদের বাঁকা শিং লইয়া দুর্গ-রক্ষকের ন্যায় সগর্ব্বে দাঁড়াইয়া আছে। বাধা পাইয়া মুহূর্ত্তের জন্য সে থমকিয়া দাঁড়াইয়া পড়িল। কিন্তু আজ আর সেদিনের ন্যায় নিজকে তাহার বিপন্ন বলিয়া মনে হইল না। দৃষ্টান্ত ও অভিজ্ঞতা তাহাকে সাহসী করিয়াছে।

 মীনার অনুকরণে সাহস করিয়া সে গরু দুটির গায়ে ধীরে ধীরে হাত দিয়া ঠেলা দিতেই তাহারা পথ ছাড়িয়া দিয়া সরিয়া দাঁড়াইল। স্নেহপালিত প্রকাণ্ড পাহাড়ী-গাই