পাতা:স্রোতের গতি - ইন্দিরা দেবী (১৯২১).pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭০
স্রোতের গতি

শিক্ষাদাত্রী, তাঁহারা তাঁহাদের হৃদয়হীন প্রভু-সম্প্রদায়ের নিকট পাইয়াছেন কি? সন্তানকে দিবার মত তাঁহাদের আছেই বা কি? ভগিনীগণ―দাসীপুত্র দাসই হয়! দাসত্বের বীজ যাহাদের অস্থিমজ্জার সহিত সংক্রামক রোগের কীটাণুর ন্যায় মিশ্রিত হইয়া গিয়াছে, তাহাদের দাসত্ব ছাড়া আর কি থাকিতে পারে? কিন্তু ঈশ্বরের রাজ্যে এত অবিচার চিরদিন চলিবে না! আঃ―কবে সেদিন আসিবে―কবে?”

 এই পর্যন্ত পড়িয়া রণেন্দ্র বইখানি মুড়িয়া রাখিয়া বিদ্রূপপূর্ণ হাস্যের সহিত কহিল―“আমি বল্‌চি―‘যেদিন আপনারা আরসুলা, ইঁদুর, টিকটিকি দেখিয়া ভয় পাইবেন না, আপনাদের ন্যায্য অধিকার সেইদিনই আপনারা ফিরাইয়া পাইবেন, তাহার একদিনও পূর্ব্বে নহে। আমি বলিব না যে ঘোড়া রাশ ছিঁড়িয়া লাফাইতে থাকিলে আপনাদিগকে তাহার মুখ ধরিয়া শান্ত করিতে হইবে, মুটে না মিলিলে দুই মণ বোঝা মাথায় তুলিতে হইবে, অথবা পালোয়ানের সহিত ঘুষাঘুষি’―”

 মীনা তাহার বলিবার ভঙ্গি দেখিয়া হাসিয়া লুটাইতেছিল। পাছে বেশী বাড়াবাড়ি হইয়া পড়ে, সেই ভয়ে বাধা দিয়া কহিল―“থামুন মশায়, থামুন, আপনার আর