পাতা:স্রোতের গতি - ইন্দিরা দেবী (১৯২১).pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

অষ্টম পরিচ্ছেদ

নদীজলে

 নদী-কিনারে দূরবিস্তৃত বালুর চর। বর্ষায় কখন কখন চর ডুবিয়া যায়, ক্ষুদ্রা নদী বিপুলকায়া হইয়া উঠে। প্রতি বৎসরই যে এমন হয়, তাহা নহে―যেবার জল বাড়ে, সেইবারই এমন হয়। নদীর জল বাড়ায় দেশের কোন ক্ষতিবৃদ্ধি হয় না। তাহার কারণ―নদীতট বহু উচ্চ, দ্বিতল পরিমাণ। তীরভূমি হইতে নদীটিকে অনেক নিম্নে দেখায়। ইচ্ছা করিলেই যেখানে সেখানে নামিতে পারা যায় না। মানুষের নিত্য-ব্যবহারের জন্য স্থানে স্থানে নদীতে নামিবার জন্য ঘাট আছে।

 প্রাণতোষবাবুর কৃষিক্ষেত্রে জল-সেচনের জন্য যে ঘাটটিতে পাম্প বসান হইয়াছিল, সেইটি কেবল পাকা ইটের গাঁথা। বৈকালে বেড়াইতে বাহির হইয়া অমিয়া এ ঘাটগুলি অনেকদিন দেখিয়া গিয়াছে। এসব ঘাটে লোকজন প্রায়ই আসে। গ্রাম্য-ছেলে মেয়েরা অনেক সময় আশ্চর্য্যদর্শনের ন্যায় অবাক হইয়া তাহাকে চাহিয়া দেখে। ইহাতে