এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্রোতের গতি
৮৫
মুখ হইতে বাঁচাইয়া আনিয়াছে। ইহাতে লজ্জা যতই থাক, সুখও বুঝি অনেকখানি ছিল। বিশ্লেষণ করিয়া সে ইহার গতি নিরুপণের চেষ্টা করিল না, শুধু মনের অত্যন্ত গোপন অংশে আনন্দের আভাস অনুভব করিতেছিল।
নৌকা তীরে লাগিলে রণেন্দ্র লাফাইয়া নিজে নামিয়া, অমিয়ার সাহায্যের জন্য হাত বাড়াইয়া দিয়া যখন সহজভাবে কহিল—“জায়গাটা ভারী পিছল, হাত ধরুন, নৈলে পড়ে যাবেন” সে তখন যে হাতে পুরুষ-বিদ্রোহে কলম ধরিয়াছে, সেই হাতেই শত্রু-পক্ষীয়ের সাহায্য গ্রহণ করিতে দ্বিধা বোধ করিল না। মাঝি তাহাদের সঙ্গে বাড়ী পর্য্যন্ত আসিল। রণেন্দ্র তাহাকে বক্শিস্ দিয়া বিদায় করিল।
মীনা এতক্ষণ অমিয়ার জন্য দুশ্চিন্তায় অস্থির হইয়া বাড়ীসুদ্ধ সকলকে বিব্রত করিয়া তুলিয়াছিল। নিরানন্দগৃহে আবার আনন্দের হাসি ফুটিল।