পাতা:হজরত মোহাম্মদ - রামপ্রাণ গুপ্ত.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছিল । কিন্তু উহার শৈশবাবস্থা তখনও অতিক্রান্ত হয় নাই। মোহাম্মদ লিখিতে পারিতেন না। প্ৰকৃতির গ্ৰন্থপাঠেই তঁহার শিক্ষালাভ হইয়াছিল। কিন্তু এই অনন্ত বিশ্বের যে কণা মাত্র প্রত্যক্ষভাবে তদীয় দৃষ্টির গোচরীভূত হইত, প্ৰকৃতির রহস্য নির্ণয় জন্য তাহাই তাহার আয়ত্ত ছিল, তদন্তিরিক্ত ক্ষেত্ৰে ভঁৰ্তাহার প্রবেশপথ রুদ্ধ ছিল । মানব মস্তিষ্ক-উদ্ভাবিত গ্ৰন্থরাজি তাহার জ্ঞান-সম্পদ পরিবৰ্দ্ধিত করিতে পারে নাই। পূৰ্ব্বগামী আচাৰ্য্যগণের সঞ্চিত জ্ঞানভাণ্ডার তঁহার নিকট আগলিবদ্ধ ছিল ; নিঃসঙ্গ মোহাম্মদ মরুস্থলীপূৰ্ণ আরবদেশের ক্রোড়ে নিজের চিন্তা ও চতুর্দিকস্থ প্ৰাকৃতিক দৃশ্য লইয়াই আবিষ্ট থাকিতেন, এবং এই তন্ময়তাই তঁহার চিত্তবিকাশের হেতুস্বরূপ হইয়াছিল। মোহাম্মদ বাল্যকাল হইতে চিন্তাশীল, সত্যনিষ্ঠ ও কৰ্ত্তব্যপরায়ণ বলিয়া পরিচিত ছিলেন। তঁহার কাৰ্য্য, বাক্য ও চিন্তা সকলই সত্যানুপ্ৰাণিত ছিল । তিনি কখনও নিরর্থক বাক্যব্যয় করিতেন না ; তিনি যাহা কিছু বলিতেন, তাহাই কাৰ্যোপযুক্ত, জ্ঞানগর্ভ এবং সারল্যপূর্ণ বলিয়া প্ৰতীয়মান হইত। অকপট্য, গাম্ভীৰ্য্য ও আন্তরিকতা তঁহার চরিত্রের বিশেষত্ব ছিল, কিন্তু ভঁহার প্রকৃতিতে অমায়িকতা, বন্ধুবাৎসল্য এবং রঙ্গরসের ও অভাব ছিল না । আদ্যকালের মোহাম্মদকে স্মরণ