পাতা:হজরত মোহাম্মদ - রামপ্রাণ গুপ্ত.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইসলাম এবং রাজশক্তি। ܕܘ সংস্থাপক, শাসনকৰ্ত্তা, অধিনেতা, অধ্যাপক ও বিচারক এই সময় মদিনা ও তাহার চতুঃপার্শ্ববৰ্ত্তী স্থান সমূহে বহুসংখ্যক ইহুদির বাসভূমি ছিল । এই সকল ইহুদি কৈানুকা, বনি নজির, কুরেজ প্ৰভৃতি নানা সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল । মোহাম্মদ ইহুদিদিগকে সন্তুষ্ট করিতে উদ্যোগী হইয়া তাহদের সঙ্গে সন্ধি সংস্থাপন করিলেন । । এই সন্ধি অনুসারে, মোহাম্মদ তাহাদিগকে স্বচ্ছন্দভাবে

  • নিবন্ধৰ্ম্মের প্রতিষ্ঠা করিয়া মানবজাতির কল্যাণ সাধন করাই মোহাম্মদের

জীবনের উদ্দেশ্য ছিল । রাজ্য-লালসা কখনও তঁাহার হৃদয় অধিকার করে নাই, নিবন্ধৰ্ম্মের সর্বাঙ্গীন প্ৰতিষ্ঠার জন্য আবশ্যক বলিয়াই তিনি এক অভিনব সাম্রাজ্যের পত্তন করিয়াছিলেন। তঁহার ন্যায় সংসারনিলিপ্ত মহাপুরুষ এ পৃথিবীতে অতি বিরল। মোহাম্মদের আশ্চৰ্য্য বৈরাগ্য ছিল। নূতন সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ একদা তদীয় প্ৰিয়তমা কন্যা ফাতেমার গৃহে গমন করেন। এই সময় ফতেম অন্নাভাবে তিন দিন উপবাস-ক্লিষ্টা ছিলেন। প্রিয়তমা কন্যার মুখে এই দুরবস্থার কথা শুনিয়া মোহাম্মদ ধীরচিত্তে বলেন, ফতেমা দুঃখিত হইও না ; তোমার পিতাও অদ্য চারিদিন উপবাসক্লিষ্ট । এই বলিয়া তিনি গাত্রাবরণ উন্মোচন করিয়া ক্ষুধাৱ যন্ত্রণা উপশম করিবার জন্য উদরে যে প্রস্তরখণ্ড বন্ধন করিয়া ছিলেন, তাহা প্রদর্শন করেন । আমরা আর একটি ঘটনার উল্লেখ করিতেছি । একদিন মোহাম্মদ দিবাভাগে মোটা দড়ির জাল বোন খাটিয়ার উপর বিনা শয্যায় শয়ন’করিয়া নিদ্রিত হইয়াছিলেন। ঐসকল মোটা দড়ির স্পর্শে র্তাহার কোমল অঙ্গে রক্তাভ দাগ পড়িয়াছিল । ওমর তীহাকে এই অবস্থায় দেখিয়া অশ্রুজােল সংবরণ করিতে পারেন নাই। মোহাম্মদ জাগ্রত হইয়া তাহার অশ্রুজল মোচনের কারণজিজ্ঞানু । হন ; তিনি ওমরের কথা শুনিয়া। বলেন, “ইহকালের সুখ আমার লক্ষ্য নহে, আমি পরলোকের সম্পদ প্ৰাখী । তুমি কি ইহা ইচ্ছা কর না ?”