পাতা:হজরত মোহাম্মদ - রামপ্রাণ গুপ্ত.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

密怒 হজরত মোহাম্মদ । বণিকের যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে কোরেশের সম্পূর্ণরূপে পরাস্ত হয়, এবং মোসলমানগণ তাহদের সমস্ত পণ্যদ্রব্য হস্তগত করে । এই যুদ্ধ রজব মাসে সংঘটিত হইয়াছিল। তৎকালের আরবসমাজে রজব মাসে যুদ্ধ করা অত্যন্ত গৰ্হিত কাজ বলিয়া পরিগণিত ছিল। এজন্য রজব মাসে যুদ্ধ হওয়াতে মোহাম্মদের বড় নিন্দাবাদ হয় । কিন্তু এই যুদ্ধে ভঁাহার সম্মতি ছিল না । যুদ্ধকর্তৃগণ মন্দিনায় প্রত্যাবৃত্ত হইলে মোহাম্মদ তাহাদিগকে যথেষ্ট তিরস্কার করিয়াছিলেন। তিনি লুষ্ঠিত দ্রব্যের কিঞ্চিম্মাত্ৰও গ্ৰহণ করেন নাই ! **

  • মোসলমানগণ বিদেশীযাত্রী কোরেশ বণিকৃদিগকে আক্রমণ করিয়া অপকাৰ্য্যের অনুষ্ঠান করিয়াছিলেন। কিনা ? এ প্রশ্নের উত্তরে মৌলভী চেরাগ আলী যাহা লিখিয়াছেন, আমরা এখানে তাহার সারমর্ম প্ৰদান করিতেছি । কোরেশদের তাড়নায় মোসলমানগণ মক্কা পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হয়। কোরেশের তাহাদিগকে বলপূর্বক জন্মভূমি হইতে নিৰ্বাসিত করিয়াছিল, এরূপ নির্দেশ করা যাইতে পারে। সুতরাং মোসলমানগণ তাহাদের বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করিতে অধিকারী ছিল । Willeaton’s Elements of International Law at RF gitt er রাজ্যের সঙ্গে অন্য রাজ্যের যুদ্ধ উপস্থিত হইলে শত্রুর সম্পত্তি অপহরণ করিয়া তাহা য়াজকোকে সঞ্চিত করা অথবা সৈনিক শ্রেণীর মধ্যে বিভাগ করিয়া দেওয়া যুদ্ধনীতির প্রথম সুত্রানুমোদিত । সম্পত্তি অপহরণ কালে স্থানাস্থান অথবা আকার প্রকারী কিছুই বিচার করিবার প্রয়োজন নাই ; কি প্রাচীন, কি অ্যাধুনিক উভয়বিধ যুদ্ধশাস্ত্ৰেই এইরূপ মত পরিদৃষ্ট হইয়া থাকে। তৎকালে মক্কার শাসনপ্রণালী patriarchal ছিল। মক্কার কোন নির্দিষ্ট সৈন্য ছিল না। আবশ্যক মত সকলেই তরবাস্ত্রী হন্তে যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হইত। সুতরাং বিবাদ আরস্ত হইবার পর প্রত্যেক