পাতা:হজরত মোহাম্মদ - রামপ্রাণ গুপ্ত.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8心、 হজরত মোহাম্মদ। ভিন্ন হইয়া গেল। মোহাম্মদ জয়শ্ৰীলাভ করিয়া সপ্ততিজন বন্দীসহ মন্দিনায় প্রত্যাবৰ্ত্তন করিলেন । * । মোহাম্মদ মন্দিনায় প্রত্যাবৃত্ত হইয়াই কোরেশ বন্দীদিগকে মুক্তি প্ৰদান করিলেন। মোসলমানগণ বন্দীদের সঙ্গে যথেষ্ট সদ্ব্যবহার করিয়াছিলেন। তাহারা পদব্রজে চলিয়া বন্দীদের কষ্ট নিবারণের জন্য অশ্ব দিত, নিজেরা খর্জর দ্বারা উদরপূৰ্ত্তি করিয়া তাহদের তৃপ্তির জন্য রুটী সংগ্ৰহ করিত। মোহাম্মদ বন্দরের যুদ্ধে অল্পসংখ্যক সৈন্য লইয়া বহুসংখ্যক কোরেশ-সৈন্য পরাজিত করিয়াছিলেন। ইহাতে মোসলমানদের ধৰ্ম্মবিশ্বাস সুগভীর হইল। ইসল্সলামধৰ্ম্ম ও তাহার প্রতিষ্ঠা ঈশ্বরেরই বিধান বলিয়া

  • स्थाश्ब्रख्रि প্রভৃতি লেখকগণ নির্দেশ করিয়াছেন যে, কোরেশবণিকৃদের ধন লুণ্ঠনের জন্যই মোহাম্মদ বন্দরের যুদ্ধ করিয়াছিলেন। আমীর আলী প্রভৃতি মোসলমানলেখকগণের মতে, কোরেশের মোসলমানদিগকে পায়ুৰ্য্যদন্তু করিবার জন্য মদিনা আক্রমণ করিতে অগ্রসর হওয়াতেই বদরের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। আমরা গিরিশ বাবুর গ্রন্থ পাঠ করিয়া জানিতে পারি যে, মোহাম্মদের সমসময়ে একদল মদিনাবাসীর বিশ্বাস ছিল যে, তিনি অর্থ লোভেই বদরের যুদ্ধ করিয়াছিলেন। কতিপায় অদিমবাসী যুদ্ধ করিবার জন্য মোহাম্মদের সহিত মদিনা হইতে বহির্গত হইয়াছিল, কিন্তু কিয়দর গমন করিয়াই প্রাগুক্ত বিশ্বাসের বশবৰ্ত্তী হইয়া যুদ্ধ না করিয়াই মন্দিনায় প্রত্যাবৰ্ত্তন করে। কল্পস নামক একজন বীরপুরুষ যুদ্ধ করিবার জন্য মোহাম্মদের সঙ্গে বহির্গত হয়। মোহাম্মদ তাহাকে জিজ্ঞাসা করেন, “তুমি কিজান্য যুদ্ধ করিতে ইচ্ছা করিয়াছ ?” কয়স উত্তর করে, “মক্কার বণিকদের পণ্য দ্রব্যই আমাকে যুদ্ধে ব্ৰতা করিয়াছে।” কয়স ইস্লামধৰ্ম্ম বিশ্বাসী ছিল না ; এজন্য মোহাম্মদ তাহাকে ফিরাইয়া দেন। মোহাম্মদের অর্থলোভ এ যুদ্ধের কারণ নহে, বিরোধী কোয়েশ