পাতা:হজরত মোহাম্মদ - রামপ্রাণ গুপ্ত.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ግቅ হজরত মোহাম্মদ । বাহুবলের সাহায্যে ধৰ্ম্মপ্রচার করেন নাই। তঁহার অনুষ্ঠিত যুদ্ধের ফলে কদাচিৎ কেহ ইসলামধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিয়াছিল। তবে এ কথা অবশ্য স্বীকাৰ্য্য যে, শত্ৰুকুল যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজয় নিবন্ধন দুর্বল হইয়া পড়াতে গৌণভাবে তরবারি ইসলামধৰ্ম্মের পথ পরিষ্কৃত করিয়াছিল । একেশ্বরবাদের শ্রেষ্ঠত এবং মোহাম্মদের গুণগ্রামই মুখ্যভাবে ইসলামধৰ্ম্মের প্রতিষ্ঠার হেতু ছিল। আমরা একটি দৃষ্টান্ত প্ৰদৰ্শন করিতেছি। মোহাম্মদ শেষবার দ্বাদশ সহস্র সৈন্য সমভিব্যহারে মক্কায় প্ৰবেশ করেন। তঁহার বিপুল বাহিনীর নিকট কোরেশের মস্তক অবনত করিতে বাধ্য হয়, এবং শত্রুতচরণ পরিত্যাগ করে। তিনি তরবারি দূরে নিক্ষেপ করিয়া প্রেম ও করুণা বিস্তার পূর্বক তাহাদিগকে ইসলামধৰ্ম্মে দীক্ষিত করিয়াছিলেন। মোহাম্মদ বিজয়ী বীরের ন্যায় মক্কায় প্ৰবেশ করিলে অধিনেতৃবৃন্দ দণ্ডভয়ে ব্যাকুল চিত্তে তঁাহার নিকট আসিয়া দাড়াইয়াছিল। তিনি তাহাদিগকে সম্বোধন করিয়া জিজ্ঞাসা করেন, “তোমরা কি ভাবিতেছ?” তাহারা উত্তর করে, “ক্ষমাশীল পিতার পুত্র, আপনি আমাদের উপর ক্ষমতা লাভ করিয়াছেন।” মোহাম্মদ প্ৰত্যুত্তরে বলেন, “পুরাকালে ইউসফ উৎপীড়নকারাদিগকে ক্ষমা করিয়া যাহা বলিয়াছিলেন, আদ্য আমি তাহারই পুনরুক্তি