ο হঠাৎ নবাব । না-ওস্তাদ —আর নাচ না জানবার দরুণ ভিন্ন অণর কিসে পদস্খলন হয় বলুন ? জু —তা সত্যি । তোমরা দুজনেই ঠিক বলেছ । না ওস্তাদ । -তবে এখন দেখুন, নাচ গান কত কাজে লাগে ? জু —এখন আমি বুঝতে পারুচি। গা-ওস্তাদ —আমাদের দুজনের কাজ কি তবে দেখতে চান ? জু —ই , গা-ওস্তাদ । আমি আপনাকে পূৰ্ব্বেই বলেছি, গানেতে যে কত রকমের ভাব প্রকাশ করা যায় তারই একটা দৃষ্টান্তস্বরূপ এই গান তৈরি করেছি । জু —তা’ বেশ ? গা-ওস্তাদ ।--(গাইয়ে বাজিয়েদের প্রতি) এদিকে এ’স । (জুর্দfার প্রতি) আপনার এখন কল্পনা করতে হবে যে, ওরা রাখালদের মত কাপড় পোরে আছে । জু —সারাদিন রাখাল কেন ? সব জায়গাতেই ওদের দেখা যায় । না-ওস্তাদ । — যখন কোন লোককে দিয়ে গান কোরে কথা কওয়াতে হয়, তখন তাকে রাখাল না সাজালে হয় না । কেননা গান করা চিরকাল রাখালদেরই সাজে, রাজা রাজড়া কিম্বা জমিদারদের গান করাটা স্বাভাবিক নয় ।
পাতা:হঠাৎ নবাব.djvu/১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।