পাতা:হত্যাকারী কে? - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগেশচন্দ্রের কথা SS) তখন শশিভূষণ আমাকে বলিল, “যোগেশ, তোমার সঙ্গে আমার একটা কথা আছে ।” আমি বিস্মিত হইয়া ফিরিয়া দাড়াইলাম । শশিভূষণ বলিল, “কাল হইতে তুমি আর এখানে আসিয়ে না, তুমি যে মতলবে যাওয়া-আসা করিতেছি, আমি মাতাল বলে তাহা কি বুঝিতে পারি না ? আমি তেমন মাতাল নই। সহজ লোক নাও তুমি-চোরের উপরে বাটপাড়ী করিতে চাও ?” কথাগুলা বজাঘাতের ন্যায় আমার বুকে আঘাত করিল। সেদিন তাহারই মুখে তাহার নীচাশয়তার কথা শুনিয়া আমি ক্ৰোধে আত্মহারা হইয়াছিলাম। কেবল লীলার জন্য আমি দ্বিরুক্তি করি নাই-করিতে পারি নাই। আজি সহসা শশিভূষণের এই কটুক্তি অগ্নিস্ফুলিঙ্গের ন্যায় সবেগে আমার মস্তিষ্কে প্ৰবেশ করিল । আজ ক্ৰোধ সম্বরণ করা আমার পক্ষে একান্ত অসাধ্য হইয়া উঠিল। আমি বলিলাম, “শশিভূষণ, তুমি পশু অপেক্ষা অধম, তোমার মন যেমন কলুষিত, তাহাতে তুমি এইরূপ না বুঝিয়া ইহার অধিক আর কি বুঝিবে ? আমার মনের ভাব বুঝিতে তোমার মত নারকীর অনেক বিলম্ব আছে ; কেবল লীলার মুখ চাহিয়াই আমি তোমার আমাৰ্জনীয় অপরাধ সকল উপেক্ষা করিয়াছি । শশিভূষণ বিকৃত কণ্ঠে কহিল, “লীলা, লীলা তোমার কে ? তুমিই বা লীলার কে —তাহার কথা লইয়! তোমারই বা এত আন্তরিকতা প্ৰকাশ কেন ? আমি আমার স্ত্রীকে যাহা খুন্সী তাঁহাই করিব, তাহাতে তোমার এত মাথাব্যথা কেন হে ? আমি কি কিছু বুঝি না বটে ? যাও যাও, তোমার মত ভণ্ড তপস্বী আমি অনেক দেখিয়াছি । মারের চোটে গন্ধৰ্ব ছুটিয়া যায়, তাহাতে আর আমি তোমার চিন্তাটা লীলার মাথার ভিতর হইতে বাহির করিয়া ফেলিতে পারিব না। " আমি অনিবাৰ্য্য ক্ৰোধে আত্মসন্ত্ৰমবোধশূন্য হইলাম। কহিলাম, “শে: {