পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হত্যা-রহস্য yo y অক্ষয়কুমার দেখিলেন, এই কঠিন মাড়োয়ারীর নিকট হইতে কোন কথাই জানিবার উপায় নাই ; সুতরাং তিনি নিতান্ত বিরক্ত হইয়া তথা হইতে বিদায় লইলেন। বাহিরে আসিয়া অক্ষয়কুমার নগেন্দ্রনাথকে বলিলেন, “এ বেটাও হুজুরীমলের মত বদমাইস। কে জানে, বেটারা হয় তা পাওনাদারকে ফাকী দেবার জন্য হুজুরীমলকে ইহজীবনের মত সরিয়েছে।” নগেন্দ্রনাথের মনে এ কথা একবারওঁ উদয় হয় নাই। তিনি নিতান্ত বিস্মিত হইয়া বলিলেন, “বলেন কি-ইহাও কি সম্ভব ?” অক্ষয়কুমার গম্ভীরভাবে বলিলেন, “সকলই সম্ভব। এখন ইহাদের বিস্তর দেন হইয়াছে; হুজুরীমল বড় অংশীদার, তারই নামে সমস্ত লোকের পাওনা ; তাহার বেঁচে থাকিলে রক্ষা নাই, আজ হউক। কাল হউক, দুইদিন পরে সকল কথা প্ৰকাশ হইয়া পড়িত ; তখন হুজুরীমলকে জেলে যাইতে হইত। এ অবস্থায় হাজার লোকে প্ৰত্যহ আত্মহত্যা করি।-- তেছে, খুনীও হইতেছে। এই বুড়ো মাড়োয়ারী যেরূপ বদমাইস, তাহাতে এ একটা গুণ্ডা লাগাইয়া সে হুজুরীমলকে সরাইয়া আপনাকে বাচাইবে, তাহাতে আর আশ্চৰ্য্য কি ?” নগেন্দ্রনাথ বলিলেন, “তবে কি এই বুড়োই লোক দিয়া নিজের অংশীদারকে খুন করিয়াছে। তাহা হইলে আমরা যাহা কিছু ভাবিতেছিলাম, সকলই আমাদের ভুল ?” অক্ষয়কুমার গম্ভীরভাবে বলিলেন, “তাঙ্গাই যে ঠিক, তাহা বলি না, তবে সম্ভব- খুব সম্ভব। বুড়ো মাড়োয়ারী যেরূপ চতুর, তাহাতে সে, নিজেকে বাচাইবার জন্য এও পারে—তবে প্ৰমাণ নাই – ঐ হল মুস্কিল।” নগেন্দ্রনাথ বলিলেন, “এটা খুব সম্ভব বটে, সন্ধান করা উচিত।” অক্ষয়কুমার বলিলেন, “তাহা না করিয়া সহজে ছাড়িব কি ?”