পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোড়শ পরিচ্ছেদ যমুনার কথা শুনিয়া নগেন্দ্রনাথের মস্তক বিঘুণিত হইল। তিনি যাহাকে মানবীরূপে দেবী মনে করিয়াছিলেন, যাহার অপরূপরােপলাবণ্যে তিনি মুগ্ধ কইয়াছিলেন, নিজের অনিচ্ছাসত্ত্বেও যাহার মুক্তি সৰ্ব্বদাই তাতার হৃদয়ে উদিত হইতেছিল, প্ৰকৃত পক্ষে যাহাকে একবার দেখিতে পাইবেন বলিয়াই তিনি আজ চন্দননগরে আসিয়াছিলেন, সে এই খুনের ব্যাপারে জড়িত । সে কেবল খুনী নহে-চাের পর্য্যন্ত। তঁহার মস্তক বিঘুর্ণিত হইলতিনি স্তম্ভিতভাবে কিয়ৎক্ষণ ব্যাকুলভাবে যমুনার মুখের দিকে চাহিয়া রহিলেন । যমুনা তঁহার মনের ভাব বুঝিল । সে সগৰ্ব্বে মাথা তুলিয়া, গ্ৰীবা বাকাইয়া দাড়াইল । তাহার সেই ভাবে তাহার সৌন্দৰ্য শতগুণ বৃদ্ধি প্ৰাপ্ত হইল। নগেন্দ্রনাথ যমুনার সেই মনোমোহন ভঙ্গিতে আবার মুগ্ধ হইলেন । যমুনা বলিল, “ভাল করিয়াছি, কি মন্দ করিয়াছি—জানি না । যাহা করিয়াছি, মেসো মহাশয়ের হুকুমে, তঁহারই জন্য করিয়াছি। কাহাকে এ কথা বলি নাই—“তঁহারই অনুরোধে প্রকাশ করি নাই—কিন্তু এখন প্ৰকাশ না করিলে নয়, তাহাই বলিতেছি।” নগেন্দ্রনাথ কেবলমাত্ৰ বলিলেন, “বলুন।” তাহার কি বলিবার আছে, শুনিবার জন্য নগেন্দ্ৰনাথ ব্যগ্ৰ হইয়াছিলেন। সে যে কোন কুকাৰ্য্য করিতে পারে, তাহা তাহার মন লাইতে ছিল না ; এ চিন্তাতেও তঁাহার হৃদয়ে কষ্ট তছিল। তিনি বলিলেন, “বলুন।”