পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৩৮

ङ्ङ-द्वाश्थ्य Σ Σδο “সিঁদুরমাখা শিব!” “হা, সম্প্রদােয় যাহাকে কোন কাজ করিতে হুকুম করে, তাহাকে কোনরূপে একটা সিঁদুরমাখা শিব পাঠাইয়া দেয়। ইহার অর্থ এই যে, যদি সে সম্প্রদায়ের হুকুম না শুনে, তবে তাহাকে সম্প্রদায় খুন করে এবং তাহার কাছে একটা সিঁদুরমাখা শিব রাখিয়া দেয়।” “এ সব ও আমরা শুনিয়াছি।” “সেই শিবের সঙ্গে মেসো মহাশয় একখানা পত্ৰও পান। ঐ পত্রে লেখা ছিল ;-তোমাকে হুকুম করা যায়, তুমি পত্ৰ পাইবামা ত্ৰ বড় বাজারের রাণীর গলিতে শনিবার রাত্ৰি বারটার সময়ে তোমার নিকটে যে সম্প্রদায়ের দশ হাজার টাকা আছে, তাহা সম্প্রদায়ের অন্যতম সভ্য শান্তপ্ৰসাদকে দিবে। যেন কোন মতে অন্যথা না হয়-সাবধান ।” “আপনি এ পত্ৰ দেখিয়াছিলেন ?” “হঁ, মেসো মহাশয় আমাকে দেখাইয়াছিলেন।” “তাহার পর তিনি কি করিবেন, স্থির করিলেন ?” “তিনি সম্প্রদায়ের হুকুম অমান্য করিতে সাহস করিলেন না। তিনি জানিতেন, “নিশ্চয়ই গোপনে সম্প্রদায় তঁহাকে খুন করিবে। তিনি টাকা শান্ত প্ৰসাদকে পৌছাইয়া দেওয়াই স্থির করিলেন। অথচ তিনি এ কথা গুরুগোবিন্দ সিংহকে প্ৰকাশ করিতে সাহস করিলেন না ; কারণ তিনি জানিতেন, এ কথা গুরুগোবিন্দ সিংহের নিকটে প্ৰকাশ করিলেও সম্প্রদায় র্তাহাকে খুন করিবে।” “এরূপ ভয়ানক সম্প্রদায় ত দেখা যায় না ।” “হা, আমিও সম্প্রদায়ের ভয়ে এতদিন কোন কথা প্ৰকাশ করিতে সাহস করি নাই। আপনি অতিশয় ভদ্রলোক, তাহাই বুলিতেছি।”