পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S3:\% হত্যা-রহস্য অক্ষয়কুমার উচ্চ হাস্য করিয়া উঠিলেন। র্তাহার হাসি আর থামে না । দেখিয়া নগেন্দ্ৰনাথ বিরক্ত হইয়া উঠিলেন। অক্ষয়কুমার সহসা হাসি বন্ধ করিয়া বলিলেন, “কেমন, বলিয়াছিলাম কি না যে, হুজুরীমল যখন খুন হয়, তখন তাহার নিকটে টাকা छिळ ।” নগেন্দ্রনাথ স্বীকার করিলেন। বলিলেন, “হুজুরীমল যে ভাবে যমুনাকে দিয়া টাকা বাহির করিয়া লইয়াছিল, তাহ কেহ স্বপ্নেও ভাবিতে পারে না ।” “আমি যমুনার কথা ভাবি নাই, এ কথা স্বীকার করি ; কিন্তু আমি জানিতাম, সে কোন রকমে সকলের চােখে ধূলি দিয়া নিজ কাৰ্য সাধন করিয়াছিল।” “নারকী নিজের স্ত্রী পরিবার ফেলিয়া, একটা কুলটা লইয়া পরের টাকা চুরী করিয়া পলাইতেছিল ; আর সেই টাকা চুরা করিতে নিজের স্ত্রীর ভগ্নীর মেয়েকে নানা কথায় ভুলইয়া লাগাইয়াছিল—এরূপ বদলোক ठ 6थ या व् ।।” “অনেক আছে।” “আপনি পুলিসে থাকেন, অনেক দেখিয়া থাকিবেন, কিন্তু আমার এই প্ৰথম ।” অক্ষয়কুমার হাসিয়া বলিলেন, “আপনি উপন্যাস লিখেন, আপনাদের উপন্যাসে ত অনেক উচ্চশ্রেণীর বদমাইস দেখিতে পাওয়া যায়।” নগেন্দ্ৰনাথ বলিলেন, “সে সমস্তই কল্পনা-এখন সে কথা যাক, এখন খুনী ধরিবার কি করিবেন ?” অক্ষয়কুমার গভীরভাবে বলিলেন, “কে খুনী?” “কোন শান্তপ্ৰসাদ। এ বিষয়ে কি আপনার এখনও সন্দেহ আছে ?”