পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

さマ万r-歪変死; কি করে দেখিবার জন্য দরজার ফাঁকে চোখ লাগাইয়া রহিলাম। দেখিলাম, সে সিন্দুক খুলিয়া নোটগুলি বাহির করিল। তখন আমার রাগে সৰ্ব্বাঙ্গ। কঁাপিতে লাগিল। বুঝিলাম, ফন্দী খাটাইয়া হুজুরীমল 'ললিতাপ্ৰসাদের সম্মুখে টাকা সিন্দুকে রাখিয়াছিল, তাহার পর এই কৌশলে টাকা বাহির করিয়া লইল ; বুঝিলাম, লোকে আমাকেই চোর স্থির করুক।” “হুজুরীমলের এত বুদ্ধি থাকিতে ফেল হইল কেন ?” “জুয়াখেলায়।” “তাহার পর বল ।” “আমি মনে মনে বলিলাম, ‘বটে ? তোমার এই চালাকী, আচ্ছা! থাক, কে টাকা পায় দেখ।” আমি জল লইয়া ফিরিয়া আসিয়া যমুনাকে দিলাম—কোন কথা বলিলাম না। যমুনাও কিছু না বলিয়া টাকাগুলি লইয়া চলিয়া গেল। আমি আগে যে একটু ইতস্ততঃ করিতেছিলাম, তাহা আর করিলাম না। তখনই আমি রঙ্গিয়াকে গিয়া সকল কথা বলিলাম। সে গঙ্গার কাপড় পরিয়া রাত্রে রাণীর গলিতে হুজুরীমলের সঙ্গে দেখা করিতে গিয়াছিল। সেখানে তাহার সঙ্গে হুজুরীমলের দেখা হইলে সে গঙ্গা ভাবিয়া রঙ্গিয়ার হাতে নোটের তাড়া দিল ।” “খুনটা করিল কে ?” “তা-তা আমি জানি না ।” “রঙ্গিয়ার কথামত আমি গঙ্গার ধারে তাহার জন্য অপেক্ষা করিতেছিলাম। সে ছুটিতে ছুটিতে আমার কাছে আসিয়া আমার হাতে নোটের তাড়াটা দিল। সে ভয়ে এমনই হইয়াছিল যে, তখন আমাকে কি বলিল, আমি ভাল কিছুই বুঝিতে পারিলাম না; তবে এইটুকু বুঝিলাম, যে হুজুরীমল খুনী হইয়াছে।”