পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>Q ○ ठूऊा-झश्मा নীরবে তাহ সহ্য করিতে হইতেছে। বাহিরে উমিচাঁদ সুখে সুশীতল বাতাসে গম্ভীরভাবে পদচারণ করিতেছে। অক্ষয়কুমার তখন আর থাকিতে পারিলেন না, অতি মৃদুস্বরে বলিলেন, “জীবনে কত দুঃখই আছে। মশায় খেয়ে ফেলিল, আর বেটা রাজপুত্রের মত তােফা বেড়াচ্ছেন—আঃ! সে বেটার যে এখনও দেখা নাই।” এইরূপে আরও কিছুক্ষণ উত্তীর্ণ হইল। অদূরে মল্লিকদের ঘড়ীতে ঢং ঢং করিয়া এগারটা বাজিল। চমকিত হইয়া উমিচাঁদ দাড়াইল, চারিদিকে চাহিল। এগারটা বাজিতে শুনিয়া অনেকে বাগান হইতে বাহির হইয়া যাইতে লাগিল ; ক্রমে বাগানের ভিতরস্থ জনতার অনেক হ্রাস হইয়া আসিল। উমিচান্দ চারিদিকে চাহিতে লাগিল; কিন্তু কোন লোক তাহার নিকটে আসিল না । সে কি কব্রিবে না-করিবে ভাবিতেছে, এই সময়ে সহসা একটী লোক ধীরে ধীরে তাহার নিকটবৰ্ত্তী হইল। তাহার হাতে একটী চুরুট। সে উমিচাঁদের নিকটস্থ হইয়া বলিল, “মহাশয়ের কাছে ब्रिांलगाई स्राएछ? फूल श्रद्धाश्व। अहेत्र।” উমিচাঁদ তাহাকে দিয়াশলাই দিল। ধীরে ধীরে দিয়াশলাই জ্বালাইয়া চুরুট ধরাইতে লাগিলেন। সেই আলোকে উমিচাঁদ দেখিল যে, এই ভদ্রলোকের লম্বা কাল দাড়ী আছে। সে মুহূৰ্ত্তমাত্র খুনের রাত্রে সেই ব্যক্তিকে দেখিয়াছিল, কিন্তু সে সে দাড়ী ভুলে নাই। তাহার হৃদয় অত্যন্ত দ্রুতবেগে স্পন্দিত হইতে লাগিল। এই লোকই তাহার চোখের উপর রঙ্গিয়াকে খুন করিয়াছিল। আজ আবার এই রাত্রে তাহারই সন্মুখে সেই খুনী দণ্ডায়মান।