পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হত্যা-রহস্য d) GRIS) উমিচাঁদ এই কথায় কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইল। ক্ষণপরে বলিয়া উঠিল, “আমি খুন করিয়াছি ? আমি স্বচক্ষে তোমার ছুরিতে রঙ্গিয়াকে খুন হইতে দেখিয়াছি। তুমি আমার সর্বনাশ করিয়াছ ?” লোকটী পুনরপি বিকট হাসি হাসিয়া বলিল, “আমি সে কথা অস্বীকার করিতে চাহি না-প্ৰয়োজন হয়, আরও দুই-চারিটা করিব। যদিও আমি খুনী, তুমি আমার কি করিবে ? তুমি আমাকে চেন না-জান না আমি কে ; পরেও কখন জানিতে পরিবে না। ভাল চাও যদি, টাকা দাও, তা না হলে তোমাকেও খুন করিব। আমি সঙ্গজ লোক নই।” এই সময়ে সহসা ঝোপের মধ্যে শব্দ হইল। লোকটা চমকিত হইয়া বিদুৰ্গদ্বেগে উঠিয়া দাড়াইল । দেখিল, চাপিজন লোক লম্বন্ধ দিয়া নিকটস্থ হইল। উমিচাঁদ তাহাকে ধরিতে যাইতেছিল, সে তাহাকে ধাক্কা মারিয়া দূরে নিক্ষেপ করিল ; কিন্তু নিজে পলাইতে পারিল না। সে পকেট হইতে ছুরি বাহির করিতেছিল। এদিকে অক্ষয়কুমার সদলে গিয়া তাহাকে আক্রমণ করিলেন। বহু আয়াসে শেষে তাহাকে বাধিয়া ফেলিলেন । তখন অক্ষয়কুমার বলিলেন, “নিগেন্দ্র বাবু, লণ্ঠনটা খুলুন দেখি। দেখি, এ মহাপ্ৰভু কে ?” নগেন্দ্রনাথের কাছে পুলিস-লণ্ঠন ছিল ; তিনি উহার চাকা ঘুরাইয়া লণ্ঠনের আলোকে লোকটার মুখ দেখিয়া বলিলেন, “চিনি না।” অক্ষয়কুমার বলিলেন, “এখনই চিনিবেন । না হয় তা আমার নাম অক্ষয়ই নয়।” বলিয়া তিনি সেই ব্যক্তির দাড়ী ধরিয়া সজোরে টান দিলেন। অক্ষয়কুমারের হাতে দাড়ী খুলিয়া আসিল, নগেন্দ্রনাথের লন্ঠনের আলো তাহার মুখের উপর নিক্ষিপ্ত হইল, তখন সকলেষ্ট সমস্বরে বলিয়া উঠিলেন, “কি সৰ্ব্বনাশ-এ কে ?”