পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ এই সময়ে উন্মত্তের ন্যায় উমিচাঁদ তথায় উপস্থিত হইল। তাহার মুখ পাংশুবৰ্ণ-প্ৰাপ্ত হইয়াছে, তাহার। সৰ্ব্বাঙ্গ। কঁাপিতেছে। সে ভগ্নকণ্ঠে বলিল, “সৰ্ব্বনাশ হয়েছে।” সকলেই আশ্চৰ্য্যান্বিত হইয়া তাহার দিকে চাহিয়া রহিলেন । তখন পঞ্জাবী ভদ্রলোক বলিলেন, “প্রায় পনের দিন হইল, হুজুরীমল বাবুকে আমি দশ হাজার টাকার নোট রাখিতে দিই। আজ আমার টাকার দরকার হওয়ায় গদীতে আসিয়াছিলাম । গদীতে আসিয়া দেখি-এই ব্যাপার ।” অক্ষয়কুমার তঁহাকে এতক্ষণ বিশেষরূপে লক্ষ্য করিতেছিলেন। তিনি স্পষ্টই বুঝিতে পারিয়াছিলেন, এই ব্যক্তিই গুরুগোবিন্দ সিং । তিনি গম্ভীরভাবে বলিলেন, “গদীতে আসিয়া শুনিলেন, হুজুরীমল বাবু খুন रुछ्रेम्नाछन ?” পঞ্জাবী ভদ্রলোকটি বিরক্তভাবে বলিলেন, “হা, সঙ্গে সঙ্গে আমার টাকাও গিয়াছে।” তৎপরে তিনি ললিতা প্ৰসাদের দিকে ফিরিয়া বলিলেন, “আপনি এখন এ গদীর কৰ্ত্তা, আপনি নিশ্চয়ই আমার টাকা ফেরৎ gिन ।।” ললিতাপ্ৰসাদ বলিলেন, “আমি ইহার কিছুই জামি না। আমি বাবুজীকে টেলিগ্ৰাফ করিয়াছি। তিনি আসিলে তঁহাকে বলিব।” পরে তিনি উমিচান্দকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “টাকা কিরূপে হারাইল ?”