পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8や2 হত্যা-রহস্য উমিচাঁদ কম্পিত্যকণ্ঠে বলিল, “এ টাকা বাবুর কাছে চন্দননগরেই ছিল । তিনি আগ্ৰায় যাইতেছেন বলিয়া সেদিন গদীতে লইয়া আসেন। তিনি বাড়ীতে থাকিবেন না বলিয়া গদীর সিন্দুকে আমাকে দেখা হয়। দশখান হাজার টাকার নোট রাখিয়া দেন। তাহার পর আর তিনি গদীতে আসেন নাই।” গুরুগোবিন্দ সিংহ বলিলেন, “শুনিলেন, আমার টাকা মারা যাইতে পারে না । তিনি মারা গিয়াছেন বটে, তবে উমিচান্দ বাবু জানেন যে, হুজুরীমলের কাছে আমার টাকা ছিল।” উমিচাঁদ বলিল, “হা, তাহার কাছে শুনিয়াছি, এ টাকা পঞ্জাবের কোন সম্প্রদায়ের ।” অক্ষয়কুমার বলিয়া উঠিলেন, “ওঃ !” সকলেই তাহার দিকে চাহিলেন। গুরুগােবিন্দ সিংহ বলিলেন, “তাহার রসিদও আমার কাছে আছে।” ললিতা প্ৰসাদ বলিলেন, “বাবুজী আসুন। হুজুরীমল যথেষ্ট টাকাকড়ি রাখিয়া গিয়াছেন। অবশ্যই আপনার টাকা বুঝিয়া পাইবেন।” সহসা গুরুগোবিন্দ সিংহকে অক্ষয়কুমার জিজ্ঞাসা করিলেন, “মহাশয়ের এ সম্প্রদায়ের সহিত পঞ্জাবের ধৰ্ম্ম-সম্প্রদায়ের কি কোন , সম্বন্ধ আছে ?” গুরুগোবিন্দ সিংহ বিস্ফারিতনয়নে অক্ষয়কুমারের দিকে চাহিয়া বিরক্তভাবে বলিলেন, “আমাদের সম্প্রদায়ের সঙ্গে আপনার সম্বন্ধ কি ?” অক্ষয়কুমার মৃদু হাস্য করিয়া বলিলেন, “তা ত নিশ্চয়, আমি ত সিন্দুরभाथों भिद नक्षे ।” এই কথায় গুরুগোবিন্দ চমকিত হইয়া উঠিলেন । অতিশয় বিস্মিত ভাবে অক্ষয়কুমারের দিকে চাহিলেন ; কিন্তু মুহুৰ্ত্ত মধ্যে আত্মসংযম