পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢७' श्ऊyl-द्धश्नy তিনি কিয়ৎক্ষণ নীরব থাকিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কোন মেয়ে মানুষ র্তাহার নিকটে আসিত কিনা, তাহা কি আপনি জানেন ?” যমুনা বিরক্তভাবে বলিল, “না, আমি জানি না। চাকরেরা জানিলেও জানিতে পারে ।” অক্ষয়কুমার সোৎসাহে বলিলেন, “ঠিক কথা, একবার আপনাদের চাকরদের দেখা যাক ৷” এই বলিয়া তিনি নগেন্দ্ৰনাথের দিকে ফিরিয়া বলিলেন, “আপনি এই-- খানেই বসুন, আমি এখনই আসিতেছি।” নগেন্দ্ৰনাথ অক্ষয়কুমারের দুর্ব্যবহারে বিরক্ত হইয়াছিলেন, কোন কথা না কহিয়া বসিয়া রহিলেন । তিনি চিন্তিত মনে বসিয়াছিলেন । সহসা কাহার পদশব্দে তিনি ফিরিলেন। দেখিলেন, একটি ভদ্রলোক একটি স্ত্রীলোকের সহিত সেই কক্ষ মধ্যেই প্ৰবিষ্ট হইয়াছেন । তিনি যে সেখানে বসিয়া আছেন, তাহা র্তাহারা জানিতেন না । উভয়েই তাহাকে দেখিয়া চমকিত হইলেন, এবং তখনই সে কক্ষ পরিত্যাগ করিতে উদ্যত হইলেন। কিন্তু ভদ্রলোকটি র্তাহাকে দেখিয়া বলিয়া উঠিলেন, “নিগেন্দ্ৰ না ?” নগেন্দ্ৰনাথ উঠিয়া দাড়াইয়াছিলেন ; বিস্মিতভাবে বলিলেন, “আরে কেও যমুনাদাস ৷” তিনি হাসিয়া বলিলেন, “চিনিতে পারিয়াছ, ইহাই আমার সৌভাগ্য!” নগেন্দ্ৰনাথ বলিলেন, “অনেকদিন তোমাকে দেখি নাই বটে,-কিন্তু তোমার চেহারা ঠিক সেইরূপই আছে।” যমুনাদাস হাসিয়া বলিলেন, “এটি আমার একটা গুণ বুলিতে হইবে।”