হনুমানের স্বপ্ন ইত্যাদি গল্প
বক্তব্যটা আপনিই বেশ গুছিয়ে বলবেন। ঘাবড়ে যাবেন না তো?’
চাটুজ্যে। ঘাবড়াবার ছেলে কেদার চাটুজ্যে নয়।
জিগীষা দেবী ঘরে প্রবেশ করিলেন। রাশভারি মহিলা, দশাসই চেহারা, পাউডারের প্রলেপ ভেদ করিয়া সুগোল মুখের নিবিড় শ্যামকান্তি উঁকি মারিতেছে। কালিদাস যদি দেখিতেন তো লিখিতেন—খড়িপড়া ছাঁচি কুমড়া ইব।
জিগীষা দেবী বলিলেন ‘আমাকে এখনি একটা কমিটি-মিটিংএ যেতে হবে, আপনারা একটু তাড়াতাড়ি বক্তব্য শেষ করলে বাধিত হব।’
বাঁটলো। বলুন চাটুজ্যে মশায়।
চাটুজ্যে মহাশয় গলা সাফ করিয়া আরম্ভ কবিলেন—‘মা-লক্ষ্মী, এই যে দেখছেন চার জন ছোকরা, এরা হচ্ছে চারটি তরুণ। এটির নাম কাত্তিক, হীরের টুকরো ছেলে। এর বাপ চরণ ঘোষের হচ্ছে পিত্তির ধাত, তাই মেজাজটা একটু তিরিক্ষি। দু-সন্ধ্যে ত্রিফলার জল খায়, কিন্তু কিছুই হয় না। চরণ ঘোষ কাত্তিককে বলেছে ছুঁচো, তাতে এঁরা
ঘনেন তাহার নোটবুক দেখিয়া বলিল —‘তিন বার ছুঁচো বলেছে।’
৯৮