পাতা:হনুমানের স্বপ্ন ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

হনুমানের স্বপ্ন ইত্যাদি গল্প

উই-মাটির স্তর খ’সে পড়ল, সঙ্গে সঙ্গে ভিতর থেকে মানুষের ক্ষীণ কণ্ঠস্বর শোনা গেল—অহো, কুসুমশর কি দুঃসহ!

 কন্দর্প বললেন—ভুণ্ডিল মুনির গলা শুনছি না?

 বল্মীকের ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে ভূণ্ডিল বললেন আমার তপস্যা ভঙ্গ করলে কেন হে? ভস্ম ক’রে ফেলব।

 কন্দর্প বললেন —আরে দাঁড়াও ঠাকুর, এখন গোসা ‘রাখ’। বেজায় কাহিল হয়ে গেছ যে! নাও, এই দিব্য মকরন্দটুকু খেয়ে ফেল। গায়ে বল পাচ্ছ? বেশ বেশ, আর একটু খাও! তার পর, কিসের জন্য তপস্যা হচ্ছিল?

 ভুণ্ডিল উত্তর দিলেন— তপস্যা আবার কিসের জন্য করে? মোক্ষলাভের জন্য।

 মোক্ষ এখন থাকুক। দিব্যকান্তি চাও? তপ্তকাঞ্চনবর্ণ চাও? রমণীর মন হরণ করতে চাও?

 ভুণ্ডিল একটু দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে বললেন—কিন্তু তপস্যার কি হবে?

 তপস্যা এখন থাকনা। দিন-কতক ছুটি নাও, ফুর্তি কর।

 ভুণ্ডিল ভেবে দেখলেন, এ রকম তো অনেক মহামুনিই করে থাকেন, পরাশর বিশ্বামিত্র ব্যাসদেব। তাতে আর দোষ কি। বললেন আচ্ছা, রাজী আছি, কিন্তু এক বৎসরের বেশী নয়।

১৩৮