হনুমানের স্বপ্ন ইত্যাদি গল্প
লক্ষ্য স্থানে পৌঁছিল, খল্বিদং একবার মাত্র বাবা গো বলিয়া ডিগবাজি খাইয়া ধরাশায়ী হইলেন।
ডাক্তারবাবু বলিলেন, ‘শুধু বোরিক কমপ্রেস। পেট ফুটো হয় নি, চোটও বেশী লাগে নি তবে শক-টা খুব খেয়েছেন। একটু পরেই উঠে বসতে পারবেন, তখন আবার দু-ড্রাম ব্রাণ্ডি॥ ব্যথাটা সারতে দিন-পনর লাগবে।’
ডাক্তার অত্যুক্তি করেন নাই। কিছুক্ষণ পরেই খল্বিদং চাঙ্গা হইয়া উঠিয়া বসিলেন। বলিলেন —‘ছাগলটা গেল কোথায়?’
বিনোদবাবু বলিলেন ‘সেটাকে বেঁধে রাখা হয়েছে, আপনার কোনও ভয় নেই।’
স্বামীজী বলিলেন —‘ভয় আমি কোনও শালার করি না। কিন্তু ছাগলটাকে এক্ষুনি মেরে তাড়াতে হবে, ওটা মূর্তিমান পাপ।’
বিনোদবাবু বলিলেন —‘বলেন কি মশায়, আপনারা হলেন করুণার অবতার, পাপীকে যদি ক্ষমা না করেন তবে বেচারা দাঁড়ায় কোথা? আর লম্বকর্ণের স্বভাবটা তো হিংস্র নয়, আজ বোধ হয় হঠাৎ কিরকম ব্লাড-প্রেশার বেড়ে গিয়ে মাথা গরম হয়ে —কি বলেন ডাক্তারবাবু?’
৫২