হনুমানের স্বপ্ন ইত্যাদি গল্প
বাঁঁটলো ভুল উচ্চারণ বরদাস্ত করিতে পারে না। বলিল ‘কেফ নয়, কাফে।’
ম্যানেজার। ওই হ’ল। জানেন, এটা হেঁজিপেঁজি জায়গা নয়, এটা একটা রেস্পেক্টেবেল রেষ্টাউরেণ্ট?
বাঁটলো। রেস্তোরাঁ।
ম্যানেজার। এক-ই কথা। জানেন, এটা হচ্ছে শিক্ষিত লোকের রেণ্ডেজভোঁশ?
বাঁটলে। রাঁদেভু।
বার বার বাধা পাইয়া ম্যানেজার চটিয়া উঠিল। বলিল —‘আরে থাম ডেঁপো ছোকরা। ডেভিল মামলেট কোপ্তা কোর্মা দেরাই বেচে বুড়িয়ে গেলুম, আর ইনি এলেন উরুশ্চারণ শেখাতে।’
বাঁটলো। গর্জন করিয়া বলিল ‘খদ্দেরকে অপমান? টেক কেয়ার, তোমার হোটেল বয়কট করব, কেবল কুকুরের ঠ্যাং আর সাপের চর্বি চালাচ্ছ।’
ঘরের এক কোণে একটি বৃদ্ধ ভদ্রলোক বসিয়াছিলেন। ইনি একজন নীরব কর্মী, দুই প্লেট কোর্মা চুপচাপ শেষ করিয়া এখন রাই-সরিষা ও নেবুর রস দিয়া টোমাটো খাইতেছিলেন। বাঁটলোর কথায় চমকাইয়া উঠিয়া বলিলেন —‘কী ভয়ানক, সেইজন্যই তো আমি ওসব খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি, কেবল জোচ্চুরি, ভাইটামিনের নামগন্ধ নেই।’
৯০