পাতা:হনুমানের স্বপ্ন ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

রাতারাতি

 হোটেলের ভোক্তার দল আতঙ্কে চঞ্চল হইয়া উঠিল। অনেকে খাওয়া ফেলিয়া উঠিয়া পড়িল। কেহ বলিল— ‘অ্যা, কুকুরের ঠ্যাং!’ কেহ বলিল ‘সর্বনাশ, ভাইটামিন নেই!’ ম্যানেজার ব্যস্ত হইয়া করজোড়ে বলিতে লাগিল—‘বসুন মোসাই বলুন, ওসব মিথ্যে কথায় কান দেবেন না আমার কি ধর্মভয় নেই!’

 চাটুজ্যে মহাশয় উঠিয়া চারিদিকে চাহিয়া বলিলেন—‘মহাশয়রা যদি অনুমতি দেন তো আমি ভাইটামিন সম্বন্ধে দু-চারটে কথা নিবেদন করি।’

 কয়েকজন প্রবীণ ভদ্রলোক চোপ চোপ করিয়া ধমক দিয়া গণ্ডগোল থামাইয়া দিলেন। তাহার পর চাটুজ্যে মহাশয়ের দিকে চাহিয়া বলিলেন ‘হাঁ, তার পর মশায়, ভাইটামিনের কথা কি বলছিলেন?’

 চাটুজ্যে বলিতে লাগিলেন—‘বাল্যে দুগ্ধ, যৌবনে লুচি-পাঁঠা, বার্ধক্যে একটু নিমঝোল আর প্রচুর হরিনাম —এই হ’ল আমাদের প্রাচীন শাস্ত্রসম্মত পথ্য। কিন্তু অ্যাদ্দিনে আমরা জানতে পেরেছি যে ওসব কেবল উদর পূরণের উপাদান মাত্র, ভাইটামিনই হচ্ছে আসল জিনিস, ভবনদীতে ভাসবার একমাত্র ভেলা, শিশু যুবা বৃদ্ধ সকলের পক্ষেই। অতএব ভাইটামিন যদি চান তো কাঁটাল খান।’

 টোমাটো-ভোজী বাবুটি বলিলেন —কাঁটাল?’

৯১